ভারতের উচ্চবর্ণের হিন্দুরা গরুকে মায়ের মর্যাদা দেওয়ায় ভারত সরকার অর্থনৈতিক ক্ষতি স্বীকার করেও বাংলাদেশে গরু রফতানী বন্ধ করেছে, কয়েকটি রাজ্যে গরুর গোশত খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে, বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে হামলা-মামলা হয়েছে; এখন সেই গরু নিয়ে বিপদে পড়ে গেছে দেশটি।

জাত-পাতের কারণে দেশের নিমণবর্ণের দলিত সম্প্রদায়কে অবজ্ঞা করায় তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাস্তাঘাট থেকে মরা গরু সরাবে না। উচ্চবর্ণের হিন্দুদের উদ্দেশ্যে তাদের বক্তব্য- গরু তোমাদের মা। রাস্তাঘাটে ও গোয়ালে মরে পড়ে থাকা গরু তোমরাই সরাও। তোমরাই মরা গরুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কর। ফলে কয়েক দিন থেকে গুজরাটের বাড়িঘর থেকে শত শত মরা গরু না সরানোয় দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে বাতাসে। হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাটে চলাফেরা করা দায় হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের।

‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার খবর অনুযায়ী গুজরাটের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় অন্তত ৫শ’ থেকে এক হাযার মরা গরু পড়ে রয়েছে। প্রতি মরা গরু সরানোর জন্য আগে ২শ’ টাকা দেয়া হ’ত। এখন প্রতি গরুতে এক হাযার টাকা পর্যন্ত দেয়ার প্রস্তাব করা হ’লেও দলিত সম্প্রদায় কোন প্রস্তাবই মানছে না। তাদের দাবী আমরা টাকা চাই না নাগরিক অধিকার চাই। এক দেশে কেউ প্রথম শ্রেণীর নাগরিক কেউ দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক থাকতে পারে না। তারা নাগরিক হিসাবে সমান অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত মরা গরু সরাবে না এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

জাতপাতের কারণে ভারতে দলিত সম্প্রদায়কে সামাজিকভাবে অচ্ছুত মনে করায় কার্যতঃ তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে বিবেচিত হয়। ইচ্ছে করলে দলিতরা কোন হোটেলে প্রবেশ করে খেতে পারে না। হোটেলে এবং রেস্তোরাঁয় দলিতদের জন্য আলাদা প্লেট-গ্লাস-চায়ের কাপ ব্যবহার করা হয়।






সিমলাকে রাজধানী করে স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে ১৫ মাসে ১৫১ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
আসামের ৪০ লাখ ‘রাষ্ট্রহীন’ অধিবাসীর কী হবে
ক্যাথলিক চার্চে যৌন নিপীড়নের শিকার ৪৪৪০ শিশু
যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার কেন্দ্রে রয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস
যুক্তরাজ্যে মুসলিম স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ‘পিপিই হিজাব’
ব্রিটেনে ফুটপাথে ঘুমায় ২৪ হাযার ফকীর-মিসকীন
রোহিঙ্গা নির্যাতনের করুণ চিত্র
এজেন্সী ছাড়াই ওমরাহ করতে পারবেন বাংলাদেশীরা
কয়েদীদের হত্যা করে সার বানাচ্ছেন কিম
মোবারকগঞ্জ সরকারী চিনিকলে প্রতি কেজি চিনির উৎপাদন ব্যয় ৫৪২ টাকা!
ব্যাংকে টাকা রাখলে প্রতি বছর দুই শতাংশ কমবে
আরও
আরও
.