এক বছর বা দুই বছর নয়, দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে মৃত মানুষের জন্য তাদের শেষ ঠিকানা কবর খুঁড়ে চলেছেন মুহাম্মাদ আলী। প্রায় পাঁচ শতাধিক কবর খুঁড়েছেন। বয়স তার ৭০ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু তার মনোবল ও পরিশ্রম দেখে মনে হয় এখনো ২৫ বছরের টগবগে যুবক। পেশায় কৃষক। কৃষি কাজের পাশাপাশি এভাবে ৪০ বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে কবর খুঁড়ে চলছেন তিনি। মুহাম্মাদ আলীর বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপযেলার কয়লা জিলতলী এলাকায়।

তার এলাকা ও আশপাশের প্রায় ১৬টি কবরস্থানে ৪০ বছর ধরে প্রায় ৫ শতাধিক কবর খুঁড়েছেন তিনি। এ জন্য তিনি কোনো পারিশ্রমিক নেন না। কবর খোঁড়ার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি লাগে তাও কিনেছেন নিজের অর্থে। অন্যের জমি বন্ধক রেখে চাষাবাদ করে চলে যাচ্ছে তার সংসার। মুহাম্মাদ আলী জানান, আমি কঠোর পরিশ্রম করতে পারি।  মানুষ মারা যাওয়ার খবর তার কানে এলে সব কাজ ফেলে আমি ছুটে যাই।  হয়তো এই কাজ করার কারণে আল্লাহর রহমতে শরীরে আমার কোনো রোগ-বালাই নেই। যতদিন বেঁচে থাকব এই কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

[আমরা এই নিঃস্বার্থ কাজের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাইয়েতের জন্য কবর খনন করল, অতঃপর দাফন শেষে ঢেকে দিল, আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত পুরষ্কার দিবেন জান্নাতের একটি বাড়ীর সমপরিমাণ, যেখানে আল্লাহ তাকে রাখবেন। আর যে ব্যক্তি মাইয়েতকে কাফন পরাবে, আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামতের দিন জান্নাতের মিহি ও মোটা রেশমের পোষাক পরাবেন’ (হাকেম, ছহীহুত  তারগীব হা/৩৪৯২)। আল্লাহ তাকে উক্ত পুরস্কারে ভূষিত করুন (স.স.)]






আরও
আরও
.