প্রশাসনের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা দাড়ি রাখেন এবং ছালাত আদায় করেন তাদের বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ত না করতে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যারা নামায পড়েন ও দাড়ি রাখেন, তাঁদের আমি পসন্দ করি। অথচ এক শ্রেণীর মানুষ নিজেদের স্বার্থেই এ ধরনের কর্মকর্তাদের বিএনপি-জামায়াতের লোক হিসাবে চিহ্নিত করে বসেন।

গত ২৮শে অক্টোবর মন্ত্রীপরিষদ সচিব মুহাম্মাদ শফিউল আলমের অবসর উপলক্ষে এ কথা বলেন। বৈঠকের শুরুতে তাঁর প্রতি বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১লা নভেম্বর তিনি তাঁর নতুন কর্মস্থল ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসাবে যোগ দেবেন।

বিদায়ী মন্ত্রীপরিষদ সচিব হিসাবে তাঁর কর্মদক্ষতার বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনের সবপর্যায়ের দায়িত্ব পালনে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন শফিউল আলম। তিনি মেধাবী, সৎ, দক্ষ এবং একজন সফল কর্মকর্তা। তিনি কখনোই কাজ ফেলে রাখেননি। দিনের কাজ দিনেই শেষ করে তিনি সবার জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর নিয়োগের সময় একদল কর্মকর্তা বিরোধিতা করে তাঁকে জামায়াতের অনুসারী কর্মকর্তা হিসাবে চিহ্নিত করে অভিযোগ করেছিলেন এবং প্রমাণ হিসাবে তাঁর নিয়মিত নামায পড়া ও দাড়ি রাখাকে পেশ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা কোন ধরনের কথা? একজন দাড়ি রেখেছেন। নিয়মিত নামায পড়েন। এ কারণেই তিনি জামায়াতের অনুসারী হয়ে যাবেন? তিনি বলেন, মূলতঃ কোন কর্মকর্তার নিয়োগ বা পদোন্নতি ঠেকাতে প্রথমেই বলা হয় ঐ কর্মকর্তা বিএনপি। তারপর বলা হয়, সে তো জামায়াত। একজন কর্মকর্তার রাজনৈতিক বিশ্বাস যেকোন দলের প্রতি থাকতেই পারে, তা দোষের নয়। সবাই একই আদর্শে বিশ্বাসী হবেন, এটা তো কাম্য হ’তে পারে না।

প্রসঙ্গত, মুহাম্মাদ শফিউল আলমের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনিও অল্প বয়সেই দাড়ি রেখেছেন এবং নিয়মিত ছালাত আদায় করেন। প্রশাসনে তিনিও সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা হিসাবে সুপরিচিত।

[মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাই। আল্লাহ তাঁকে ইসলামের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিধান সমূহ পূর্ণভাবে বাস্তবায়নের তাওফীক দিন (স.স.)]






আরও
আরও
.