শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপযেলার আন্ধারুপাড়া গ্রামে দাদী লালবানুর কাছেই বড় হচ্ছিল ১০ বছরের কন্যা শিশু নিতি। সন্ধ্যায় লালবানু বাইরে থেকে ঘরে ফিরে দেখেন, ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে নিতির ছোট্ট দেহটি। টেবিলে পাওয়া গেল ভাঙ্গা ভাঙ্গা অক্ষরে খাতার পাতায় লেখা চিরকুট। তাতে লেখা, ‘মা-বাবা, তোমরা আমাকে ভালোবাস না। নানী-নানাও ভালোবাসে না। তোমরা কেউ আমার কথা মনে করো না, ভালোও বাস না। তাই তোমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না’।

পুলিশ, শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিতির পিতা আল-আমীন রংমিস্ত্রি ও মা ইয়াসমীন পোশাককর্মী। তাঁদের বিয়ে হয় ১৫ বছর আগে। ২০১৪ সালে আল-আমীন দ্বিতীয় বিয়ে করলে পরের বছর ইয়াসমীনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। এরপর ইয়াসমীনও আরেকজনকে বিয়ে করে ঢাকায় চলে আসে। পিতা-মাতার কেউই শিশুটিকে নতুন সংসারে নিতে চাননি। শিশুটি আগে নানার বাড়িতে থাকত। একসময় নানা-নানীও শিশুটিকে রাখতে সমস্যা মনে করেন। পরে তাকে দাদীর বাড়িতে রেখে যাওয়া হয়। সেখানে নিতি ব্র্যাক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ত। দাদী ও নাতনী দু’জনে মিলে রান্না করে খেত।

[হায়! মানুষের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা, মায়া-মমতা সবই লোপ পেতে বসেছে। আল্লাহভীতি না থাকলে মানুষ যে পশুর চাইতে অধম হয়, তার প্রমাণ এগুলি। আল্লাহর নিকট কি জবাব দিবে এইসব দায়িত্বহীন পিতা-মাতা ও নানা-নানীরা? (স.স.)]






আরও
আরও
.