বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু তা-ই নয়, তিন বছর ধরে এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। জাতিসংঘের ঐ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রায় ৮২ কোটি ১০ লাখ মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। অর্থাৎ প্রতি নয়জনে একজন মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। এছাড়া বিশ্বে পাঁচ বছরের নিচে বয়স এমন শিশুর ২২ শতাংশ ১৫ কোটি ১০ লাখ শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি থেমে আছে অপুষ্টির কারণে। গবেষকেরা বলছেন, মারাত্মক আবহাওয়া পরিবর্তন এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। জাতিসংঘ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আহবান জানিয়েছে। ‘দ্য স্টেট ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার কারণে বিশ্বে স্থূল মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। এই সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রতি আটজনে একজন মানুষ স্থূল হচ্ছে পুষ্টিহীনতার কারণে। এমন স্থূল মানুষের সংখ্যা ৬৭ কোটি ২০ লাখ।

ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালের পর থেকে বন্যা, দাবদাহ, খরা ও ঝড়ের পরিমাণ ভয়ানকভাবে বেড়েছে। এই আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে খাবারের প্রতুলতা কমে যাচ্ছে। এই সংকট সবচেয়ে বেশী কৃষিনির্ভর দেশগুলোতে। বিশেষ করে যেসব দেশে কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বৃষ্টি ও তাপমাত্রার পরিবর্তন সংবেদনশীল ভূমিকায় থাকে, সেসব দেশে এমন ক্ষতি বেশী হচ্ছে।

এছাড়া গবেষকেরা বলেছেন, আবহাওয়া পরিবর্তন ছাড়াও বিভিন্ন দেশে দ্বন্দ্ব ও সহিংসতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

[সৃষ্টিজগতের সকলের জন্য আল্লাহ প্রয়োজনীয় খাদ্য মওজুদ রেখেছেন এ পৃথিবীতে। অতএব মানুষের উচিত তাঁর দেওয়া বিধান অনুযায়ী পরস্পরে সমঝোতার মাধ্যমে  সে খাদ্য সম্ভার ভোগ করা। একাই সবকিছু ভোগ করার এই মানসিকতা অবশ্যই পরিত্যাজ্য (স.স.)]






আরও
আরও
.