দেশের ৬২ শতাংশ প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট করা খাবারে অধিকমাত্রায় লবণ পাওয়া গিয়েছে। গত ২১শে মে ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারে লবণ নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ পেশ করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর রেজিস্ট্রার (ক্লিনিকাল রিসার্চ) ডা. শেখ মো. মাহবূবুস সোবহান। তিনি বলেন, ১,৩৯৭ ধরনের প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবার দেশের বাজারে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১০৫ ধরনের প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবার ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, ৬২% প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারে অধিকমাত্রায় লবণ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫.২% খাবারে অত্যধিক এবং ২৬.৭% খাবারে তুলনামূলক কম অতিরিক্ত লবণ রয়েছে। আর ৩৮.১% প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারে সঠিক মাত্রায় লবণ রয়েছে।
উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বাজারে থাকা খাবারের প্যাকেটগুলিতে যে লেবেল থাকে, সেখানে সঠিক তথ্য দেওয়া হয় না। অনেক কোম্পানী খাদ্যপণ্যের উপাদানের সঠিক মাত্রা লুকিয়ে বাজারজাত করেন। এতে ভোক্তারা প্রতারিত হন। অথচ অতিরিক্ত লবণ খেলে নিয়ন্ত্রণহীন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। হৃদ্যন্ত্র, রক্তনালি, কিডনি, মস্তিষ্ক ও চোখ দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হ’তে পারে।
মতবিনিময় সভায় বিএসটিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর এনামুল হক বলেন, নগরায়নের জীবনে আমাদের প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা দুঃসাধ্য। তাই এই অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ থেকে বাঁচতে আমাদের সচেতন হ’তে হবে।