আমলকী পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল। টক স্বাদের এই ফলটিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে থাকা খনিজ ও ভিটামিন শরীরের জন্য শুধু উপকারী নয়; বরং এটি নানা ধরনের অসুখ প্রতিরোধেও দারুণ কার্যকরী।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আমলকীর নানা ব্যবহার রয়েছে। চুল থেকে শুরু করে ত্বক কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো- সবকিছুর জন্যই আমলকী উপকারী।

গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকীতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এই ফ্রি রেডিকেলের কারণে নানা ধরনের অসুখ যেমন-ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, আর্থাইটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ, লিভারের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয়।

আমলকীতে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি এবং উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী নিয়মিত আমলকী খেলে বিপাকক্রিয়া বাড়ে। ফলে ওযন কমাতে এটি ভূমিকা রাখে।

আমলকীতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন আমলকী খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। নিয়মিত আমলকীর জুস খেলে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়া ২০১১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস থাকুক আর না থাকুক যারা নিয়মিত আমলকীর গুঁড়া খান, সবসময়ই তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

গবেষকদের মতে, যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা প্রতিদিন মাত্র একটা করে আমলকী খেলে তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যদি খুব টক বা বিস্বাদ লাগে তাহ’লে আমলকী খাওয়ার পর পরই এক গ্লাস পানি পান করলে মুখে একটি মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যাবে। এছাড়া আমলকীর গুঁড়া ঘরে রেখে প্রতিদিন পানিতে মিশিয়ে খেলেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমলকীর জুস করেও খাওয়া যেতে পারে। এটিও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকরী।

\ সংকলিত \






আরও
আরও
.