গোল মরিচ লতাজাতীয় উদ্ভিদ। এর ফলকে শুকিয়ে এটি মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধিতে গোলমরিচ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু গোলমরিচের অন্যরকম কিছু ব্যবহার রয়েছে, যা অনেকেরই অজানা। গোলমরিচের কিছু ব্যতিক্রমী ব্যবহার নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-

১. কাশি প্রশমিত করতে : ঠান্ডা, কাশি দূর করতে আদা, লবঙ্গের ব্যবহার অনেকের জানা। কিন্তু গোলমরিচও ভাল কাশি উপশমকারী। চীনে চায়ের সঙ্গে গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করা হয় ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য। ১ টেবিল চামচ গোলমরিচের গুঁড়া, ২ টেবিল চামচ মধু ও এক কাপ পানি মিশিয়ে ১৫ মিনিট জ্বাল দেওয়ার পর নামিয়ে রেখে ঠান্ডা হ’লে পান করতে হবে। নিমিষেই কাশি কমে যাবে।

২. ধূমপান ছাড়তে : ধূমপান ছাড়তে একটি তুলায় গোলমরিচের তেল মাখিয়ে নিতে হবে। যখন ধূমপান করতে প্রচন্ড ইচ্ছা হবে, তখন গোলমরিচের তেল ভেজানো তুলার ঘ্রাণ নিলে ধূমপানের ইচ্ছা একদম চলে যাবে।

৩. পেশীর ব্যথা কমাতে : পেশীর ব্যথায় গোলমরিচের তেল ব্যবহার করলে তা ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। সাথে সাথে তা মাংশপেশী শক্ত করতে সাহায্য করে থাকে। ২ টেবিল চামচ গোল মরিচের তেলের সাথে ৪ চা চামচ রোজমেরী তেল বা আদার রস মিশিয়ে নিতে হবে। মাংশপেশীর যেখানে ব্যথা সেখানে এই তেল ব্যবহার করলে ব্যথা কমে যাবে।

৪. হজম শক্তি বাড়াতে : গোলমরিচ খেলে পাকস্থলী থেকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসৃত হয়, যা খাবার দ্রুত হজম করতে সহায়তা করে এবং অরুচি দূর করে ক্ষুধা বৃদ্ধি করে।

৫. ত্বকের যত্নে : ত্বকের যত্নে দীর্ঘ দিন থেকে গোলমরিচ ব্যবহার হয়ে আসছে। গোলমরিচে আছে অ্যান্টি ব্যাক্টরিয়্যাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে থাকে। এটি ব্ল্যাক হেডেস দূর করতে সাহায্য করে।

৬. বন্ধ নাক খুলতে : ঠান্ডায় নাক বন্ধ হয়ে গেলে ৫ ফোঁটা গোল মরিচের তেল এবং ইউক্যালিপ্টাস তেল পানির মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে এই পানির ওপর কয়েকবার নিঃশ্বাস নিলে বন্ধ নাক খুলে যাবে একনিমিষে।







আরও
আরও
.