২০১১
সালে স্বাধীনতা লাভকারী দক্ষিণ সুদানের সংকট গত তিন বছরে আরো ভয়াবহ রূপ
নিয়েছে। স্বাধীনতা লাভের পর বিভিন্ন আদিবাসীর মধ্যে সংঘাতের কারণেই দেশটির
সার্বিক পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত জুলাইয়ে দেশটির জুবা প্রদেশ
এবং ইকোটরিয়া রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে দেশটির ৩ লাখ ৪০ হাযার
মানুষ প্রতিবেশী দেশ উগান্ডায় আশ্রয় নিয়েছে। গত বছর কোন একটি দেশ থেকে এটা
রেকর্ড পরিমাণ মানুষের শরণার্থী হওয়ার ঘটনা।
এছাড় হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও আদিবাসী নিধনের ঘটনা তো ঘটেই চলেছে। উগান্ডার পথে পলায়নরত নেলসন লাবু থমাস বলেন, সেখানে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। গুলি না করে সোজাসুজি ছুরি দিয়ে মানুষ কেটে ফেলা হচ্ছে। নারী, শিশু কেউ তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমি দিনকা আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্য। নুয়ের গোষ্ঠীর লোকেরা আমাদের জীবিত দেখতে চায় না। তাদেরকে ইকোটরিয়া জিনকা আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্যদেরও দেখতে চায় না। দিনকা গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট সালভা কীর ও নুয়ের গোষ্ঠীর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের মধ্যকার বিভেদ থেকেই দক্ষিণ সুদানে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।
দীর্ঘ এই গৃহযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। দেশটির প্রায় ১০ লাখ নাগরিক অনাহারে দিনাতিপাত করছে। যার সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের মতে, কিছু কিছু এলাকায় প্রেসিডেন্ট সালভা কীর খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দেয়ায় দুর্ভিক্ষ আরো ভয়ানক আকার ধারণ করেছে।
বার্তাসংস্থা এপি বলছে, দক্ষিণ সুদানের ৫০ শতাংশ মানুষ (৫৫ লাখ) মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে যাচ্ছে। এছাড়া আগামী মাসগুলোতে তাদের জীবন মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে।
[গণতন্ত্রের নামে ক্ষমতার লড়াই এভাবে সারা পৃথিবীকে অগ্নি গহবরে পরিণত করেছে নেতৃত্ব ও আনুগত্যের বিষয়গুলি ক্রমেই সমাজ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তুমি যালেমদের হেদায়াত কর (স.স.)]