যুক্তরাষ্ট্রের
অ্যারিজোনায় দু’হাত ছাড়াই জন্ম নেয় জেসিকা কক্স। হাত ছাড়াই দৈনন্দিন সব কাজ
করে যাচ্ছে সে। এমনকি পাইলট হিসাবে বিমান চালিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে
সবাইকে। কুংফুতে ব্ল্যাক বেল্টও অর্জন করেছে সে। নিজের অদম্য দৃঢ়বল
সম্পর্কে জেসিকা বলে, আমি কখনো বলি না যে, আমি পারব না। আমি শুধু বলি, হয়তো
আমি এখনো বিষয়টি নিয়ে সেভাবে কাজ করতে পারিনি। জন্মের পর যখন আমি বুঝতে
শিখেছি যে, আমার হাত নেই তখন থেকে নিজেকে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেছি। জন্মের
পর পিতা-মাতা খুবই হতাশ হয়েছিলেন; কিন্তু তারাও আমাকে কখনো বুঝতে দেননি
যে, আমার দু’টি হাত নেই। অন্যরা আমার দিকে একটু অন্যভাবে তাকাত এবং তাদের
কেউ কেউ কখনো কখনো নেতিবাচক মন্তব্যও করত। কিন্তু আমি তাদের নেতিবাচক
মন্তব্যকে সব সময় ভাল মন্তব্য হিসাবে দেখতাম। কখনো কষ্ট পেতাম না। এটাই
আমাকে লড়াকু করে তুলেছে। জেসিকা আরো বলে, ছোটবেলা থেকেই আমার মধ্যে বিমান
চালানো সম্পর্কে একধরনের ভীতি এবং আকর্ষণ দুই-ই কাজ করত। তবে তিন বছর আগে
যখন একজন পাইলট আমাকে বিমান চালানো সম্পর্কে উৎসাহিত করলেন তখন থেকে আমার
ভীতি কেটে গেছে। প্রথমে ভেবেছিলাম, তিনি হয়তো আমার সাথে মজা করছেন; কিন্তু
পরে বুঝতে পারি তিনি সত্যি সত্যি বিমান চালানো শেখানোর বিষয়ে আন্তরিক। তিনি
আমাকে বিমান চালনা শেখানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। এটিকে তিনি একটি
চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেন। তিন বছরের প্রচেষ্টায় জেসিকা কক্স এখন হালকা বিমান
চালানোর লাইসেন্স পেয়েছে। হাত ছাড়া বিমান চালনা খুবই বিপজ্জনক বলে অনেকেই
তাকে নিরুৎসাহিত করলেও দমে যায়নি জেসিকা কক্স। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের প্রতি
জেসিকা বলে, নিজের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করার অনেক উপায় রয়েছে। নিজের মধ্যে
অদম্য স্বপ্ন আর শক্তি থাকলে সব কিছুই জয় করা সম্ভব। তোমরাও যে পারবে, তার
প্রমাণ আমি নিজে।
[আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে অদম্য স্পৃহা নিয়ে এগিয়ে গেলে আল্লাহ তা সফল করেন (স.স.)]