সন্তোষপুর-পশ্চিমপাড়া, শাহমখদুম, রাজশাহী ৯ই মার্চ শনিবার : অদ্য বাদ মাগরিব যেলার শাহমখদুম থানাধীন সন্তোষপুর-পশ্চিমপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে রাজশাহী সদর সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে মাসিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। অত্র মসজিদের সভাপতি আলহাজ্জ মুহাম্মাদ গিয়াছুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ইজতেমায় কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘সোনামণি’ কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক আবু হানীফ ও সদর-পূর্ব উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মকবূল  হোসাইন।

ধুরইল, মোহনপুর, রাজশাহী ২৮শে মার্চ বৃহস্পতিবার : অদ্য বাদ আছর যেলার মোহনপুর উপযেলাধীন ধুরইল বাজারস্থ ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন পাঠাগার’ চত্বরে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ মোহনপুর উপযেলার উদ্যোগে মাসিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি আফাযুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ইজতেমায় কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক দুররুল হুদা ও দফতর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন রাজশাহী-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি ও ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা দুররুল হুদা, উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মাওলানা এমদাদুল হক ও ধুরইল এলাকা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল বারী প্রমুখ।

নবাবগঞ্জ, ঢাকা ২৯শে মার্চ শুক্রবার : অদ্য বাদ মাগরিব যেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন মাশাইল ফুরক্বানিয়া নূরানী হাফেযিয়া মাদ্রাসা ও হযরত আবুবকর (রাঃ) জামে মসজিদ সংলগ্ন খোলা ময়দানে মাসিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। অত্র মসজিদের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ইজতেমায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক তাসলীম সরকার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন অত্র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ হাযারী, সহকারী শিক্ষক মাহবূবুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন অত্র মসজিদ-মাদ্রাসার জমি দাতা ও প্রতিষ্ঠান পরিচালক মুহাম্মাদ ফীরোয আহমাদ।

মেহমানগণ জুম‘আর ছালাতের পূর্বেই সেখানে পৌঁছেন। অত্র মসজিদে তাসলীম সরকার ও পার্শ্ববর্তী দড়িকান্দা গ্রামে নব নির্মিত হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) জামে মসজিদে কেন্দ্রীয় মেহমান ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন জুম‘আর খুৎবা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের রামাযান মাসের দুই দিন আগে যাকির হোসাইন নামক জনৈক স্থানীয় প্রবাসী দ্বীনি ভাইয়ের প্রচেষ্টায় নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে অত্র মসজিদের যাত্রা শুরু হয়। এক পর্যায়ে গ্রামের সকলেই যাকির হোসাইনকে বয়কট করে। এমনকি তাদের দানকৃত টাকাও ফেরত নিয়ে নেয়। পার্শ্ববর্তী বিদ‘আতী মৌলভীদের প্ররোচনায় তিনি দৈহিক নির্যাতনের শিকার হন। কিন্তু অবিচল ধৈর্যের সাথে ছহীহ আক্বীদা ও আমলের উপর দৃঢ় থেকে তিনি মসজিদ পরিচালনা করতে থাকেন। তিনি, তার ছেলে, শ্যালক ও ইমাম মাত্র চারজনেই জামা‘আত করে ছালাত চালিয়ে যান। দৃঢ় আক্বীদা ও নম্র আচরণের ফলে  একদিন বিজয় পতাকা উড্ডীন হয়। ফিরে যাওয়া গ্রামবাসী পুনরায় মসজিদে ফিরে আসেন। দানের টাকাও অতিরিক্ত সহ ফেরত দেন। ফলে স্থানীয় উদ্যোগেই মাত্র এক বছরের মধ্যে অত্র মসজিদটি তিনতলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট এক অত্যাধুনিক একতলা মসজিদে রূপ লাভ করে। ফালিল্লা-হিল হাম্দ। বর্তমানে সেখানে ইমাম হিসাবে দায়িত্বরত আছেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার আব্দুল বাছীর।






আরও
আরও
.