কুরআন দিয়েছে মানবতার সম্মান
সকল মানুষ আদম-হাওয়ার সন্তান।
প্রিয় রাসূল (ছাঃ) বলেছেন
কুরআন হ’ল সাম্যের সংবিধান।
নর-নারীতে বিভেদ আছে বিদ্যমান
বিভেদ সত্ত্বেও অধিকার পাবে সমান।
বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
স্থানভেদে সম-অধিকার কুরআন দিল করে।
জাহেলী যুগে নারী জন্মিলে অপমানিত হ’ত পিতা
ভেঙ্গে দিয়েছে কুরআন সেই সব জঘন্য প্রথা।
জাহেলী যুগে ভোগ্যপণ্য ছিল যে নারী
কুরআন ভাঙ্গলো জাহেলী শৃঙ্খল, সম্মানিত আজ সে নারী।
জীবিত কন্যা পুঁতে দিত, প্রথা কত পাষাণ?
সে প্রথা তুলে দিয়ে নারীকে বাঁচাল আল-কুরআন।
পৈতৃক সম্পত্তি পেত না নারী অন্য ধর্মেও দেয় না
এই অধিকার নিশ্চিত করল আল-কুরআন, আর কেউ না।
জুয়ার আসরে পত্নী বন্ধক আরো ছিল লাঞ্ছনা,
কুরআন দিল সুষ্ঠু সমাধান ঘুচলো নারীর যন্ত্রণা।
অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগে নারী ছিল পদতলে
সে নারীর পদতলেই জান্নাত রাসূল গেলেন বলে।
নির্মম সেই সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদ করে কুরআন,
কুসংস্কার সব বাতিল করে নারীকে দিল নব জীবন।
শত শত নারীর বিয়ে ভাঙ্গত পণ্যের অভাবে
কুরআন দিল নারীকে অধিকার দেনমোহর সে পাবে।
যৌতুকের রোষাণলে কত জীবন যেত চলে
হারাম করেছে আল্লাহ এসব কুরআনে দিলেন বলে।
ইলম ফরয করেছে কুরআন নর-নারী সকলের
নারী ইলম করবে অর্জন বিজ্ঞানময় কুরআনের।
নারী হবে নারীর ডাক্তার বাধা নেই ইসলামে
সব অধিকার দিয়েছে কুরআন সমতার মাধ্যমে।