রামাযান
-আতিয়ার রহমান
মাদরা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
বরষের পর তরণী সাজিয়ে
দ্বারে এলো ফের রামাযান,
নেকির পসরা এনেছে সাজিয়ে
গোনাহগারে দিতে পরিত্রাণ।
ফেরদৌস আর জান্নাত তারা
দ্বার খুলে আজি দাঁড়ায়ে,
বান্দার বুকে মিশাইবে বুক
চেয়ে রহে হাত বাড়ায়ে।
পাতকী রবে না হবে নাতো কেউ
আল্লাহ ছাড়া কারোর দাস,
অশেষ পুণ্য অর্জিবে আজিকে
মুমিনের মনে আশ।
এ মহান মাসেতে হেরা গুহাতে
কুরআনের বাণী এলো,
আল্লাহ্র নবীর (ছাঃ) হৃদয় পটে
জ্বলিল অহি-র আলো।
মিথ্যা ইলাহ্র আসন যত সব
হ’ল যে কম্পমান,
মুমিনের দিল সতেজ করিতে
তুমি এলে রামাযান।
***
ইফতারকালে নিবেদন
-ডাঃ মুহাম্মাদ গোলাপ উদ্দীন মিয়া
ওছমানপুর বাজার, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।
তোমার আদেশ হয়নি বলে
দেয়নি মুখে কেউ আহার।
জানি তোমার ক্ষমতা অসীম
তুমি রহমানুর রহীম ও গাফফার\
ছিয়াম সাধন কবুল কর
সাহারী-ছালাত-ইফতারী।
রোজ হাশরে কৃপা করে
দিও না সমন গ্রেফতারী\
রহমত, বরকত, নাজাত মাগী
গুনাহগারের এ আবদার।
মুসলমানে হেদায়েত দানে
দাও ঈমানী বল আবার\
মাহে রামাযান
-রুপালী
বড়াইগ্রাম, নাটোর।
মাহে রামাযানের আগমনে
কত আয়োজন,
তবু কেন কেঁদে উঠে না
পাপে ভরা মন?
সারা বছর করে পাপ
সব থাকে জমা,
এ মাসে সব গোনাহ হ’তে
চাই প্রভুর ক্ষমা।
বারবার করি স্মরণ
দয়ালু আল্লাহ্কে,
ক্ষমা যেন করে দেন
অপরাধী আমাকে।
গভীর রাতে দু’হাত তুলে
আল্লাহ্র কাছে বলি,
সারাক্ষণ আমি যেন
সত্যের পথে চলি।
সারা বছর থাকি যেন
আল্লাহ্র প্রেমে মশগূল,
মৃত্যুর পরে পাই যেন
সেই জান্নাতের কূল।
***
খুশীর ঈদ
-আহমাদ রিজভী
ভবানীগঞ্জ, বাগমারা, রাজশাহী।
ভুলে যাই বৈরিতা, হিংসা ও যেদ
প্রীতি দিয়ে জয় করি সব ভেদাভেদ।
ঈদের খুশিতে তুলে ঐক্যের সুর
মন থেকে মলিনতা করে দেই দূর।
হানাহানি রেষারেষি করে দেই বন্ধ
মিলেমিশে বাস করি ভুলে যাই দ্বন্দ্ব।
***
হারিয়ে যাব!
-আতাউর রহমান মন্ডল
মুংলী, চারঘাট, রাজশাহী।
হারিয়ে যাব আমি হারিয়ে যাব
একদিন ঠিকই আমি হারিয়ে যাব।
খুঁজে পাবে না কেউ খুঁজে পাবে না
বলতো হারিয়ে আমি কোথায় যাব?
আদিম কালের সেই আদম ছফী
বনী আদমেরা সব আজ কালের
আদি মাতা ভাই বোন এ নয়া সালের
গেছেন যেখানে আমি সেখানে যাব।
সেদিনও ফুটবে ফুল গাছে গাছে
মৌমাছি গুঞ্জনে নাচে নাচে
মধু আহরণে যাবে চপল পাখায়
শুধু আমি থাকব না হারিয়ে যাব।
নিমফুল বনে বনে জোনাকী মেয়ে
আলোকের বন্যায় উঠবে নেয়ে।
মেঘের ঘোমটা খুলে চাঁদ বধুটি
হাসবে সেদিনও আমি হারিয়ে যাব।
ঝর্ণা-পাহাড়-পাখী-ফুলের সুবাস
আকাশে মেঘের ভেলা বালু চরে কাশ
স্বকীয়তা রেখে যাবে আকাশ যমীন।
দেখব না থাকব না আমি সেই দিন।
হারিয়ে যাব আমি হারিয়ে যাব।
***
[আলোচ্য কবিতার লেখক ও সরদহ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এবং পুঠিয়া ইসলামিয়া মহিলা কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব আতাউর রহমান মন্ডল (৮০) সত্যিই আমাদের নিকট থেকে হারিয়ে গেছেন। গত ২০ জুলাই’১০ তারিখে তিনি চারঘাট থানার মুংলী গ্রামের নিজ বাড়ীতে ইন্তিকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৬ পুত্র, ৪ কন্যা সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আমরা তার রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। -সম্পাদক]