বর্তমানে
দেশের (উচ্চ ও নিম্ন) আদালতগুলোয় বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখেরও বেশী।
২০১৮ সালের ৩০শে জুন পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ ৫৩ হাযার ৩৫৩টি। গত ৬
মাসে আদালতগুলোয় মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৫৪ হাযার ৫৪৫টি। যা দেশের ইতিহাসে
আদালতগুলোয় মামলা জটের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
সারাবিশ্বের বিচার ব্যবস্থায় বাংলাদেশে মামলার তুলনায় বিচারকের অনুপাত খুবই কম। বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য বিচারক মাত্র একজন। পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখ লোকের বিপরীতে যেখানে বিচারক ১০ জন, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে ১০৭ জন, কানাডায় ৭৫ জন, ইংল্যান্ডে ৫১ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ৪১ জন এবং এমনকি ভারতেও ১৮ জন। ভারতে যেখানে একজন বিচারকের বিপরীতে এক হাযার ৩৫০টি মামলা বিচারাধীন, সেখানে বাংলাদেশে একজন বিচারকের বিপরীতে রয়েছে দুই হাযার ১২৫টি মামলা। বিচারক স্বল্পতার কারণে গত এক যুগে শুধু ঢাকার ৪০টি আদালতে মামলা বেড়েছে চারগুণেরও বেশী। সেখানে এখন মোট মামলার সংখ্যা ৪ লাখ ৪১ হাযার ৪৭১টি।
সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে ৫ লাখ ২৭ হাযার মামলা বিচারাধীন। আর জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে ২৯ লাখ ৮০ হাযার ৫৮৪টি, হাইকোর্ট বিভাগে ৫ লাখ ৭ হাযার ৬৯৫টি এবং আপিল বিভাগে ১৯ হাযার ৬১৯টি। দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে সব মিলিয়ে বর্তমানে বিচারাধীন মামলা ৩৫ লাখ ৭ হাযার ৮৯৮টি। যার মধ্যে দেওয়ানি ১৩ লাখ ৯৯ হাযার ৬২৫টি, ফৌজদারি ২০ লাখ ১৭ হাযার ৯১৪টি এবং অন্যান্য ৯০ হাযার ৩৫৯টি।