২০১৮ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল চরম উদ্বেগজনক মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সংগঠনটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোর অগ্রগতির ধারা ২০১৮ সালে অব্যাহত ছিল। কিন্তু মানবাধিকারের আরেকটি সূচক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। বিগত বছরগুলোর মতো ২০১৮ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল চরম উদ্বেগজনক।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে গত ১০ই জানুয়ারী বৃহস্পতিবার আসকের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৮ বছরজুড়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, বিশেষ করে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, গুলিবিনিময় ও গুম-গুপ্তহত্যার ঘটনা অব্যাহত ছিল। বিশেষত গত বছরের মে মাস থেকে শুরু হওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে ক্রসফায়ার ও বন্দুকযুদ্ধে দেশজুড়ে ২৯২ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালের আরেকটি উদ্বেগজনক বিষয় ছিল বেআইনি আটক, গণগ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাযতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনা। আসকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলেছে, গত বছর গণমাধ্যমে প্রকাশিত গায়েবী মামলার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ২০১৮ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ, ক্রসফায়ার, গুলিবিনিময়, নিরাপত্তা হেফাযতে মোট ৪৬৬ জন নিহত হয়েছে। এর সংখ্যা ২০১৭ সালে ছিল ১৬২ জন। ২০১৮ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে গুম হন ৩৪ জন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে ১৯ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে, যাদের অধিকাংশই বিভিন্ন মামলায় আটক আছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ের চিত্র তুলে দরে আসক আরও বলেছে, নির্বাচনের তফছীল ঘোষণার পর থেকে গত ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৭০টি সহিংসতার ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৯ জন, বিএনপির ৪ জন, একজন আনসার সদস্য, ১০ জন সাধারণ মানুষ রয়েছেন। ধর্ষণের বিষয়ে সংগঠনটি বলেছে ২০১৮ সালে সারা দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৩২ জন। ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার ৬৩ জন, ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৭জন। ২০১৭ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮১৮ জন। আর ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭২৪।






দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু টিকার সফল গবেষণা
ভারতীয় মন্ত্রীর দাবী : বন্যার জন্য দায়ী ফারাক্কা বাঁধ
ছালাতের সময় ফাঁকা হয়ে যায় দিনাজপুর চিরির বন্দরের ‘শান্তির বাজার’
যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়াকে টুকরা টুকরা করতে চায় - জার্মান সাংবাদিক
কারাবন্দীরা এখন থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে স্বজনদের সাথে কথা বলতে পারবেন
কুরআনে বর্ণিত তীন ফলের চাষ হচ্ছে দিনাজপুরে
দেশে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, কমেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার
পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি ছাড়া মাদক ব্যবসা চলে না - -ডিএমপি কমিশনার
জনসংখ্যা স্বল্পতা বিশ্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে
‘লিভিং ঈগল’ সাইফুল আজমের বিদায়
গোপন মহামারী এএমআর : ১ বছরে ১২ লাখ মৃত্যু
কিডনী দিয়ে পুত্রবধুর জীবন বাঁচালেন শাশুড়ী
আরও
আরও
.