বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। গত ২৮শে ডিসেম্বর ২০২২ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবুজ পতাকা উড়িয়ে ও ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন মেট্রোরেলের। ২০১২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর নেওয়া এই প্রকল্পটির আংশিক তথা উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত (১১.৭৩ কি.মি.) সীমিত আকারে চালু হ’ল। কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত অংশ মিলিয়ে প্রকল্পটি পুরোপুরি শেষ করতে ২০২৫ সাল হ’তে পারে। মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ তদারকি ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বলছে, পূর্ণমাত্রায় চালু হ’লে এমআরটি-৬ প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাযার এবং দিনে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এরকম মোট ৬টি মেট্রো রেলপথ ঢাকার বিভিন্ন অংশকে যুক্ত করবে। এর মধ্যে এমআরটি-১ প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬.২১ কি.মি. হবে পাতাল পথে এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬ কি.মি. হবে উড়ালপথে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে গাবতলী থেকে নিউমার্কেট, গুলিস্তান, কমলাপুর হয়ে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-২ নির্মাণ করা হবে। এমআরটি-৫ লাইনেও দু’টি অংশ রয়েছে। নর্দার্ন রুট সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী, মিরপুর এক ও দশ, কচুক্ষেত, গুলশান-২, নতুন বাজার হয়ে ভাটারা পর্যন্ত যাবে। আর সাউদার্ন রুট হবে গাবতলী থেকে আফতাব নগর পর্যন্ত। আর কমলাপুর থেকে সাইনবোর্ড হয়ে নারায়ণগঞ্জের মদনমোহন পর্যন্ত যাবে মেট্রোরেলের লাইন-৪। উল্লেখ্য, উত্তরা থেকে আগারগাঁও যাওয়া-আসায় সময় লাগে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডের মতো। টিকিট জনপ্রতি ৬০ টাকা। বর্তমানে এটি সকাল ৮.৩০ থেকে দুপুর ১২.৩০ পর্যন্ত চলাচল করছে।