নতুন এক গবেষণা মানুষকে আশান্বিত ও বিস্মিত করেছে। আর তা হ’ল ঘ্রাণ নিয়ে ক্যান্সার শনাক্ত করতে সক্ষম কুকুর! এটি অনেক ক্ষেত্রে ল্যাব টেস্টের চাইতেও কার্যকরী বলে দাবী গবেষকদের। সম্প্রতি সিএনএন-এ প্রকাশিত হয়েছে এমনই এক প্রজাতির কুকুরের কথা। প্রতিবেদনে বলা হয়, লুসি নামের ঐ কুকুর প্রজাতিটি ক্যান্সার শনাক্তে ৯৫ শতাংশই সফল হয়েছে। একাজে তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় টানা ৭ বছর ধরে। ফলে সে হয়ে ওঠে এই কাজে প্রায় বিশেষজ্ঞের মতোই। ‘মেডিক্যাল ডিক্টেশন ডগ’ নামে এক ব্রিটিশ সংস্থার হয়ে আরও ৭টি কুকুরের সাথে সে এখন ক্যান্সার চেনার কাজ অব্যাহত রেখেছে। এতে আরও বলা হয়, মানুষের যেখানে ঘ্রাণ নেওয়ার কোষের সংখ্যা ৫ মিলিয়ন, সেখানে কুকুরের এই কোষের সংখ্যা ৩শ’ মিলিয়ন।

১৯৮৯ সালে প্রথম লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালের জনৈক চিকিৎসক প্রথম কুকুরের এই বিরল ক্ষমতার সন্ধান পান। এরপর দীর্ঘদিন ধরে চলছে এর গবেষণা। যদি সঠিকভাবে কুকুরদের দিয়ে এই কাজটি করানো যায়, তাহ’লে ক্যান্সার শনাক্তের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী সাফল্য আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।


[নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সবকিছুকে আল্লাহ মানুষের সেবায় নিয়োজিত করেছেন (লোকমান ২০)। কোনকিছুই তিনি বৃথা সৃষ্টি করেননি (আলে ইমরান ১৯১)। অতএব মানুষ যত আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করবে, তত বেশী তার জন্য নব নব কল্যাণের দুয়ার খুলে যাবে (স.স.)]




বিষয়সমূহ: সংগঠন
আরও
আরও
.