প্রবীণদের পরিচর্যায় রোবট-ভালুক
রোগীকে প্রয়োজনে কোলে করে বিছানা থেকে তুলে হুইল চেয়ারে বসিয়ে দেবে এমন রোবট তৈরী করেছেন জাপানের একদল বিজ্ঞানী। তারা রোবিয়ার নামে ভালুকের মতো করে একটি রোবট বানিয়েছেন। আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে এটির বিভিন্ন সামর্থ্যের মধ্যে যুক্ত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নমনীয় চলাফেরা আর শক্তিশালী দু’টি হাত। যেগুলো ব্যবহার করে একজন মানুষকে মেঝে থেকে অনায়াসে ওপরে তুলে ফেলা যায়। আশা করা হচ্ছে, মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে গভীর সম্পর্ক স্থাপনে এই রোবিয়ার নতুন মাত্রা যোগ করবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হ’ল, রোবটটি বুদ্ধিমান ও বন্ধুভাবাপন্ন। আর দেখতেও বেশ সুন্দর। ভবিষ্যতে বয়স্ক লোকজনের পরিচর্যাকে সহজ করে তোলার জন্যই এ উদ্যোগ। কারণ জাপানে প্রবীণ জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে এবং তা দেশটির জাতীয় সমস্যা হিসাবে দেখা দিতে পারে। তাই প্রবীণবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছেন সেখানকার বিজ্ঞানীরা।
[ইসলামী পরিবার ব্যবস্থা না থাকলে অবশেষে রোবটই ভরসা। মানুষ মানুষের কাছেই শান্তি পায়, রোবটের কাছে নয়। অতএব আসুন! আমরা পরস্পরে মহববতপূর্ণ সত্যিকারের মুসলিম পরিবার গড়ে তুলি (স.স.)]
মাত্র ২ টাকায় ফলের কৃত্রিম রং সনাক্তকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন
বেশ কয়েক বছর ধরে লাল এবং হলুদ বর্ণের ফল ও সবজি আকর্ষণীয় করার জন্য এবং কাঁচা বা অর্ধ পাকা ফলকে পাকা দেখানোর জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কাপড় রঙ্গীন করার জন্য ব্যবহৃত কৃত্রিম রং বিভিন্ন কৌশলে ব্যবহার করছে। এ সকল রং মানব দেহের জন্য বিষাক্ত যা ক্যান্সার, কিডনী বিকল, অর্টিজম, খাদ্য বিষক্রিয়া, ডায়রিয়া, বমিসহ নানা প্রাণঘাতি রোগ সৃষ্টি করে, যা মৃত্যুর কারণ হয়ে দেখা দেয়। সাধারণ ক্রেতারা বাজারের এসব কৃত্রিম রং দেওয়ায় স্বাস্থ্যসম্মত ফল সনাক্ত করতে পারে না। তাই কম মূল্যের সহজে ব্যবহার উপযোগী এবং নিরাপদ একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুহাম্মাদ ফারূক। তিনি জানান, এ কিট ব্যবহার করে ক্যরোটিনয়েড ও লাইকোপিন পিগমেন্ট সমৃদ্ধ লাল এবং হলুদ বর্ণের ফল এবং সবজিতে কৃত্রিম রং ব্যবহৃত হয়েছে কি-না তাৎক্ষণিক জানা যাবে। তরমুজ, টমেটো, চেরী এবং গাজরের ক্ষেত্রে এ কিট ব্যবহার করে সঠিকভাবে ব্যবহৃত কৃত্রিম রং এর উপস্থিতি নির্ণয় করা সম্ভব। আর প্রতিটি টেষ্টের জন্য খরচ হবে ২ থেকে ৩ টাকা মাত্র।
১৯ দিনে ৫৭ তলা ভবন!
মধ্য চীনের একটি নির্মাণ সংস্থা মাত্র ১৯ দিনে ৫৭ তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল ভবন তৈরী করেছে, যেটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত নির্মিত ভবন। মধ্য চীনের হুনান প্রদেশের চাংসা শহরের ‘মিনি স্কাই সিটি’-তে কাঁচ ও স্টিল দিয়ে এই বহুতল ভবনটি নির্মিত হয়েছে। সংস্থাটি দাবী করেছে, সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিদিন ৩টি করে তলা তৈরী করা হয়েছে। প্রথাগত পদ্ধতিতে একটির উপর একটি করে ইট সাজাতে হ’ত। কিন্তু আমাদের পদ্ধতিতে আমরা শুধু ব্লকগুলিকে পরপর সাজিয়েছি। এই পদ্ধতিতে তৈরি বাড়িগুলি যথেষ্ট নিরাপদ দাবী করে নির্মাতারা জানিয়েছেন, এই ধরনের বাড়িগুলি ভূমিকম্পের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবে এই বিল্ডিংয়ের ভিতরের স্পেস নিজেদের মতো করে 'কাস্টমাইজড' করার খুব একটা সুযোগ নেই বলেও জানানো হয়েছে।