‘সূদের টাকায় সুখ নাইরে ভাই। গায়ের ঘাম ঝরিয়ে আয়ে যে শান্তি, সে শান্তি আর কিছুতেই নেই। যতদিন বেঁচে আছি ভ্যান চালিয়ে খাব। আর পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত পড়ে আল্লাহর কাছে মাফ চাইব। তবুও সূদ আর খাব না’। সম্প্রতি বাগেরহাটের চিতলমারী বিপদের মোড়ে বসে এমনটাই বললেন কোটিপতি ভ্যানচালক শাহীন মুন্সী। তিনি জানান, এক সময় বেকার ছিলেন। সংসার চালাতে খুব কষ্ট হ’ত। সেই কাবুলিওয়ালাদের যুগ থেকে এখনও চিতলমারীতে সূদের কারবার জমজমাট। এখানে যারা সূদের কারবার করে তারাই দাপটের সাথে বসবাস করে। তাই ভালো থাকার তাকীদে শাহীনও সূদের ব্যবসা শুরু করেন। খুব অল্প সময়ে তিনি কোটিপতি বনে যান। নিজের বসবাসের জন্য তৈরী করেন তিনতলা ভবন। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যে তার মনে পাপবোধ কাজ করতে শুরু করে। কারবারেও নামে ধ্বস। তাই সিদ্ধান্ত নেন আসল টাকা ফেরত পেলে আর সূদের কারবার নয়, অন্য কিছু করতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। ভ্যান কিনে তা নিজেই চালানো শুরু করেন। শাহীন বলেন, ‘ভুল যা করার তা করেছি। আর করব না। কোটিপতি হ’লেও মনের সুখই আসল সুখ। তাই যতদিন বেঁচে আছি ভ্যান চালিয়ে খাব। তবুও আর সূদ খাব না।

[শাহীন মুন্সী এ যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তওবাকারী। আমরা তাকে খোশআমদেদ জানাচ্ছি এবং অর্থলোভীদেরকে তার থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি (স.স.)]







আরও
আরও
.