১৯৯২-১৯৯৫ সালের
যুদ্ধে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা দখল করে নিয়েছিল খৃস্টান সার্ব বাহিনী। সেখানে
তারা তিন লাখেরও বেশী মুসলিমকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। দখল করে নিয়েছিল
মুসলমানদের জমিজমা। সে সময়ই মুসলিম নারী ফাতা অলিভিচকে তার বাড়ি থেকে বের
করে দিয়ে তার বাগানে নির্মাণ করা হয় একটি গির্জা। দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষে
অবশেষে গত ২রা অক্টোবর ইউরোপীয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস ৯০ কর্মদিবসের
মধ্যে গির্জাটি ভেঙে ফেলার এবং মহিলার জমি ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ফাতা অলিভিচ বসনিয়া-হার্জেগোভিনার যুদ্ধকালীন দেশটির স্রেব্রেনিৎসা উপশহরে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। গণহত্যার সময় তিনি স্বামীসহ অন্তত ২২ জন নিকটাত্মীয়কে হারান। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে আসেন তিনি। ১৯৯৯ সালে তিনি ফিরে এসে দেখেন তার জমি দখল করে অবৈধভাবে বানানো হয়েছে এটি গির্জা। অতঃপর তিনি তা অপসারণের জন্য আইনী লড়াই শুরু করেন এবং দীর্ঘ ২০ বছর পর তার জায়গাটুকু ফিরে পেলেন। উল্লেখ্য, ১৫ শতকে উছমানীয় সুলতান মুহাম্মাদ আল-ফাতেহ বসনিয়া-হার্জেগোভিনা জয় করেন এবং চার শতাধিক বছর যাবৎ এ অঞ্চলে তুর্কী শাসন অব্যাহত থাকে। অতঃপর ১৮৭৮ সালে দেশটি অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরির করতলগত হয়। বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ মুসলিম (তন্মধ্যে শী‘আ ১৩%) এবং ৪৫% খৃষ্টান। আর বাকী ৩% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
[মিয়ানমার ও ভারত সহ অন্যান্য নিপীড়ক দেশগুলি কি এ দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। এ পৃথিবীর মালিকানা আল্লাহর! এখানে যেখানে খুশী বসবাসের অধিকার সবার। তাই মানুষকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা নিঃসন্দেহে অন্যায়। অতএব সাবধান না হলে আল্লাহর গযব অবশ্যম্ভাবী (স.স.)]