প্রখ্যাত
সাংবাদিক ইংরেজী দৈনিক নিউ এইজ সম্পাদক নূরুল কবীর বলেছেন, আমাদের
প্রধানমন্ত্রীর দিল্লী সফরে বাংলাদেশের অর্জন নেই বলা যাবে না। বড় অর্জন
হ’ল ভারতকে চিনতে পারা। এটা একটা ভীষণ রাজনৈতিক সাফল্য। ভারত যে আমাদের
শত্রু এটার প্রমাণ হয়ে গেছে শেখ হাসিনার দিল্লী সফরে।
ভারত চাণক্যনীতিতে অভ্যস্ত। তাই ভারত কখনোই প্রতিবেশী দেশের বন্ধু হ’তে পারে না। গত ২৫শে এপ্রিল চ্যানেল আই-এর টকশো তৃতীয় মাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তিস্তা নদীসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের পাওয়ার কথা, তার কোনটিই হয়নি। তিস্তা চুক্তি হয় হয় করেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। সবাই বলতে চাচ্ছেন যে, মমতা ব্যানার্জি নাকি এটা করতে দিচ্ছে না। অথচ আমরা সবাই জানি, ভারতের সংবিধান অনুযায়ী পররাষ্ট্রবিষয়ক ব্যাপার কেন্দ্রীয় সরকারের জুরিসডিকশনই একমাত্র জুরিসডিকশন। সেখানে রাজ্যগুলোর কিছুই করার থাকে না। এখানে খুব স্পষ্ট করে বুঝা যায়, পশ্চিমবঙ্গকে আসলে কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজনীতিক ও কূটনীকিতকরা একটা উপলক্ষ হিসাবে ধরে নিয়ে বাংলাদেশকে পানি থেকে বঞ্চিত করতে চায়। বছরের পর বছর যে রাষ্ট্র তার নিকটতম প্রতিবেশীকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ন্যায্য পাওনা দেয় না, তাকে বন্ধু মনে করার যুক্তিসঙ্গত কারণ বাংলাদেশের মানুষ দেখে বলে আমার মনে হয় না।
[নূরুল কবীর বুঝেছেন, প্রধানমন্ত্রী বুঝেছেন কি? (স.স.)]