দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় রান্নাঘর এখন বাংলাদেশে। প্রতিদিন এখানে রান্না হচ্ছে লাখো মানুষের খাবার। এ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান হচ্ছে চার হাযার মানুষের। রাজধানীর নতুন বাযারের পূর্ব পার্শ্বে বেরাইদ এলাকায় ১৫ বিঘা জমির ওপর বেসরকারী উদ্যোগে রান্নাঘরটি প্রতিষ্ঠা করছেন নারী উদ্যোক্তা আফরোযা খান। তিনি এর নাম দিয়েছেন খান’স কিচেন।
মানুষের হাতের স্পর্শ ছাড়াই অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে গড়ে উঠছে লক্ষাধিক মানুষের খাবার প্রস্ত্ততকারী এই প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোযা খান জানিয়েছেন, কম দামে স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু, পুষ্টিকর, জীবাণুমুক্ত ও রুচিসম্মত গরম খাবার পৌঁছে দিতেই আধুনিক প্রযুক্তিতে এশিয়ার সবচেয়ে বড় রান্নাঘরটি তৈরী করা হয়েছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেগা কিচেন দেখেছি। দেখে গবেষণা করে চাহিদামতো মেশিন এনেছি। ছয় মাস পরীক্ষামূলক চালিয়েছি। মানুষের খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। খাবার তৈরীতে সর্বাধুনিক পদ্ধতি ফোরজি হাই এফিসিয়েন্সি ক্লাসিফায়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি গড়েছি আমরা।
এখানে রাইস স্টিমার মেশিনে আধা ঘণ্টায় ৩৮০ কেজি চাল থেকে ভাত রান্না হয়। এরকম ১০টি মেশিনে রান্না হয় ভাত। এছাড়া চাল ধোয়া, সবজির খোসা ছাড়ানো, মাছ-গোশত কাটা সমস্ত কাজই হয় মেশিনে। রান্নার পর তার স্বাদ ও মান পরীক্ষার জন্যও রয়েছে অটোমেটিক মেশিন।
খান’স কিচেনের বিশ্ববিখ্যাত রন্ধনশিল্পী টনি খান বলেন, মানুষকে তো মেশিন দেখিয়ে খাওয়ানো যাবে না। তাই খাবারে যেন মায়ের হাতের স্বাদ থাকে সে ব্যাপারে আমরা খুবই সচেতন।
খান’স কিচেন নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। ১৩৫ টাকার প্রিমিয়াম মেন্যুতে আছে স্টিম রাইস, ভেজিটেবল স্যুপ, মুরগী অথবা মাছ, সবজি এবং মিষ্টান্ন। আর ৯৫ টাকার এক্সিকিউটিভ মেন্যুতে আছে ভাত, মুরগী ভুনা অথবা মাছ, ডাল, সবজি বা ভাজি। এছাড়া বিভিন্ন দিন বিভিন্ন ধরনের মেন্যু থাকে। বিকাল ৫-টার মধ্যে ১৬৫২০ নম্বরে ফোন করলেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে দুপুরের খাবার।