সংযুক্ত
আরব আমিরাতের প্রথম মহাকাশচারী হাজ্জা মানছূরী অতি সম্প্রতি ১ সপ্তাহের
মহাকাশ ভ্রমণ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ছাড়া এর আগে আরো দশজন মুসলিম নভোচারী
মহাকাশ ভ্রমণে গিয়েছেন। আরব নভোচারী হিসাবে তার অবস্থান তৃতীয়। তবে তাদের
ব্যাপারে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, তারা যখন মহাকাশ ভ্রমণে ছিলেন, তখন
তারা কিভাবে ছালাত-ছিয়াম পালন করেছেন; অথচ ঐ সময় তারা পৃথিবী থেকে হাযার
হাযার কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে অবস্থান করছিলেন!
সংযুক্ত আরব আমিরাত নিউজ এজেন্সির বরাতে জানা যায়, নভোচারীরা সেখানে আমাদের ২৪ দিনের সময়ে ১৬ ঘন্টা সূর্যোদয় ১৬ বার সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন। মুসলিম নভোচারীদের সে হিসাবে প্রতি ৯০ মিনিটে ৫ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করতে হবে। কারণ পৃথিবী থেকে মহাকাশের গতি ২৪,০০০ হাযার কিলোমিটার বেশী। সে হিসাবে তারা এক ওয়াক্ত ছালাত আদায় করবেন ত্রিশ মিনিট অন্তর অন্তর। আমাদের ২৪ ঘন্টার সমান মহাকাশের সময়ে ৮০ ওয়াক্ত ছালাতের সময় অতিবাহিত হয়। ছিয়াম রাখার ক্ষেত্রে প্রতি ৪৫ মিনিটের একটি ছিয়াম রাখার কথা বলা হয়।
অন্যদিকে মহাকাশে কিবলা নির্ধারণ কিভাবে হবে সে ব্যাপারে মিসরের দারুল ইফতা প্রদত্ত ফৎওয়ায় বলা হয়েছে, এটা নিশ্চিত যে, নভোচারী যখন মহাকাশ গমন করে, তখন সে কিবলার দিক হারিয়ে ফেলে। এরপরেও সম্ভবপর কিবলামুখী হয়েই ছালাত শুরু করতে হবে। কেননা এটা ছালাত শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম শর্ত।
তবে ২০০৬ সালে বিজ্ঞানী ও আলেমদের নিয়ে সমন্বয়ে আয়োজিত এক কনফারেন্সে সিদ্ধান্ত হয় যে, মহাকাশচারী তার ক্ষমতা অনুযায়ী কিবলা নির্ধারণ করবে। এই ব্যাপারে আরো একটা মত আছে, সেটা হ’ল মহাকাশচারী পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকলেই যথেষ্ট হবে।
[নভোচারীদের জন্য ক্বিবলার নিয়ত করাই যথেষ্ট। ক্বিবলা নির্ধারণ শর্ত নয়। আল্লাহ বলেন, যেদিকেই তোমরা মুখ ফিরাবে, সেদিকেই রয়েছে আল্লাহর চেহারা (বাক্বারাহ ১১৫)। তবে তারা সেখানে গিয়ে যদি ছালাত-ছিয়াম আদায় করে থাকেন, তবে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় নেকীর কাজ। আমরা তাদের জন্য দো‘আ করি (স.স.)]