বেন সালাসের বয়স ২১ বছর। মার্কিন এই তরুণ স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নেয় গত এপ্রিলে। পিতা-মাতার বুক খালি করে চলে যায় পরাপারে। নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অপরাধবিদ্যার ছাত্র ও অলিম্পিকের ক্রীড়াবিদ ছিলেন বেন। গত বছর বেনের আত্মহত্যাসহ যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত আত্মহত্যার সংখ্যা ৫০ হাযার, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা বৃহত্তম সংখ্যা। সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে ২০২২ সাল, এ বছর দেশটিতে নিবন্ধিত আত্মহত্যার সংখ্যা ৪৯ হাযার ৪৪৯। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে ৩৫ বছরের কম বয়সী আমেরিকানদের মধ্যে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হ’ল আত্মহত্যা।
বেন পিতা-মাতার মা-বাবার নেওটা ছিলেন। প্রায় সময় তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হ’ত। কিন্তু এত অল্প বয়সে বেন কেন আত্মহত্যা করল? এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই তার পরিবারের।
নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী ভাইস চ্যাঞ্জেলর জাস্টিন হলিংসহেড বলেছেন, আত্মহত্যা যুক্তরাষ্ট্রে এখন ‘জাতীয় মহামারী’ আকারে দেখা দিয়েছে, যা শুধু কলেজ ক্যাম্পাসে আর সীমাবদ্ধ নেই। লরেলাই নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের বয়সী অনেকেই পৃথিবী নিয়ে উদ্বিগ্ন। জীবন অনেক ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অন মেন্টাল ইলনেসের সহযোগী মেডিকেল ডিরেক্টর ক্রিস্টিন ক্রফোর্ড বলেন, কোভিড মহামারি তরুণদের আত্মহত্যার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হ’তে পারে। অন্যদিকে দিন দিন তরুণদের মধ্যে গ্যাজেট নিয়ে সময় কাটানোর সংখ্যা বিপুলসংখ্যক বেড়ে যাচ্ছে। এতে তাঁরা একা হয়ে পড়ছেন, যা একসময় তাঁদের উদ্বেগ ও হতাশার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আত্মহত্যা হেল্পলাইন-এর দুই শতাধিক কেন্দ্র আছে। শুধু গত বছরেই প্রতি মাসে এই নম্বরে কল করার সংখ্যা এক লাখ করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
[তাক্বদীরে বিশ্বাস ও পরকালে জান্নাত লাভের আকাংখাই কেবল মানুষকে হতাশা থেকে বাঁচাতে পারে (স.স.)]