চীনের
জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিম শিশুদের পরিবার, ভাষা ও ধর্মবিশ্বাস থেকে আলাদা
করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি বিবিসির এক গবেষণায় উঠে এসেছে। তুরস্কে পালিয়ে
অবস্থানরত ৬০টিরও বেশি উইঘুর পরিবার থেকে গৃহীত সাক্ষাৎকারে ১০০টির বেশি
শিশুর হারিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিন ছেলে ও এক মেয়ের ছবি দেখিয়ে এক মা
বলেন, আমি শুনেছি তাদেরকে সরকারীভাবে এক ইয়াতীমখানায় রাখা হয়েছে। অপর এক
ব্যক্তি জানান, চীনে তাঁর স্ত্রীকে ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। তার ৮ সন্তান এখন
চীনা কর্তৃপক্ষের অধীনে। তাদের শিশু শিক্ষা ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। জার্মান
গবেষক অ্যাড্রিয়ান জেনজ জানিয়েছেন, জিনজিয়াংয়ে স্কুল সম্প্রসারণে ব্যাপক
কার্যক্রম চলছে। নতুন ডরমিটরি তৈরি হচ্ছে এবং সেখানে ধারণক্ষমতা বাড়ানো
হচ্ছে। একইসঙ্গে তারা জিজ্ঞাসাবাদের ক্যাম্প তৈরি করছে। মুসলিম ও অন্য
সংখ্যালঘু শিশুদের কিন্ডারগার্টেনে ভর্তির হার ৯০ শতাংশ বেড়েছে। জিনজিয়াং
প্রদেশে এই কিন্ডারগার্টেনের উন্নয়নে ১২০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে চীন। তার
মতে, এই নির্মাণ কাজ আসলে তাদের আটক রাখার উদ্দেশ্যেই করা। তিনি বলেন,
আবাসিক স্কুলের মাধ্যমে শিশুদের চিন্তাধারা পাল্টে সাংস্কৃতিক কাঠামো
পরিবর্তন করা সম্ভব। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, সহিংস ধর্মীয় উগ্রপন্থা
ঠেকাতে ছোট-বড় সব উইঘুরদের ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে সাক্ষ্যপ্রমাণ বলছে, কয়েকবছর থেকে প্রদেশটির লক্ষাধিক মানুষ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, ইবাদত বা পর্দা করার মতো কারণে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক রয়েছেন।