ফিলিস্তীনের গাযা উপত্যকায় ইস্রাঈলী হামলায় ২৪ হাযারের বেশী শিশু তাদের পিতা-মাতার একজন বা দু’জনকে হারিয়েছে। যুদ্ধের মধ্যে এই হিসাব পাওয়া কঠিন হওয়া সত্ত্বেও এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। গাযার ২৩ লাখ মানুষের প্রায় অর্ধেক শিশু। ভয়াবহ এই যুদ্ধের কারণে তাদের জীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া ফিলিস্তীনী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, ইস্রাঈলী হামলায় সাড়ে ১১ হাযারের বেশী শিশু নিহত হয়েছে। এমনকি এর চেয়ে আরও বেশী শিশু আহত হয়েছে।
গাযা যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেই হাসপাতালে এক শিশু জন্মগ্রহণ করেছে, যাদের কোন নাম রেখে যেতে পারেনি মা। ইস্রাঈলী বিমান হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাচ্চা ভালোভাবে প্রসব হ’লেও মারা যান ঐ নারী। নার্স জানান, বাচ্চাটির পিতা, পরিবার বা আত্মীয়-স্বজন সম্ভবত কেউ নেই। কেউ আসেনি তার খোঁজে।
ইউনিসেফের ফিলিস্তীন শাখার প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা জনাথন ক্রিকক্স বলেন, এসব শিশুর একটা বড় অংশকে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞ দেখে অনেক শিশু নির্বাক হয়ে গেছে। তারা আতঙ্কে কথা বলতে পারছে না। গাযায় কর্মরত শিশুবিষয়ক সংস্থা সস চিলড্রেনস ভিলেজের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা আনুমানিক চার বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করেছি। শিশুটি তার পরিবারের সদস্যরা কোথায় বা কিভাবে নিহত হয়েছে, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছিল না। গাযা উপত্যকায় ইস্রাঈলী হামলা ইতিমধ্যে চার মাস পূর্ণ হয়েছে। পশ্চিম তীর বাদ দিয়ে শুধু গাযায় সাড়ে ২৮ হাযার ফিলিস্তীনী নিহত হয়েছে।