মাতৃগর্ভে ৩৭-৪০ সপ্তাহ কাটানোর পর জন্ম হয় পরিপূর্ণ মানব শিশুর। তবে মায়ের গুরুতর শারীরিক অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে ২৮ সপ্তাহের আগেই জন্ম হ’তে পারে অতিমাত্রায় প্রিম্যাচিউরড বেবি বা অপরিণত শিশুর। এমন সব শিশুকে বাঁচিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব। আর সেই অসম্ভবকে জয় করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এক দল গবেষক। তারা মাতৃগর্ভের মতো কৃত্রিম গর্ভাশয় তৈরী করেছেন। এর মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে রাখা হবে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা অপরিণত শিশুদের। কৃত্রিম এসব গর্ভাশয়ে ধীরে ধীরে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে নবজাতক।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলভিনিয়ার চিলড্রেন্স হসপিটাল অফ ফিলাডেলফিয়ায় এমন একটি কৃত্রিম গর্ভাশয়ে এমনভাবে বেড়ে উঠছে একটি ভেড়ার শাবক। এটি হচ্ছে কৃত্রিম গর্ভাশয় থেকে জন্ম নেয়া অষ্টম ভেড়া শাবক।
এই গবেষকরা এখন অপরিণত মানবশিশুকে পরীক্ষামূলকভাবে এমন কৃত্রিম গর্ভাশয়ে রাখবেন। এর নাম রাখা হয়েছে এক্সট্রা উটেরাইন এনভায়রনমেন্ট ফর নিউবোর্ণ ডেভেলপমেন্ট। তারা জানিয়েছেন গর্ভধারণের শুরু থেকে এমন গর্ভাশয়ে রাখা যাবে না। শুধুমাত্র ২৮ সপ্তাহ বা এর কিছু কম-বেশী বয়সী নবজাতকের জন্য এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ যেসব শিশু মাতৃগর্ভে প্রায় ৭০ শতাংশ সময় পার করেছে তাদের জন্যেই হচ্ছে এমন কৃত্রিম গর্ভাশয়।
অনেকটা গোলাকার প্লাস্টিকের বলের মতো দেখতে এর ভেতরে থাকবে অপরিণত শিশুটি। তার সাথে জুড়ে দেয়া পাইপ দিয়ে তার জন্য আসবে অতিপ্রয়োজনীয় রক্ত ও অন্যান্য তরল। ঠিক মায়ের গর্ভের মতোই পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে সেখানে। বিশ্বব্যাপী এখনো নবজাতকের মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ অপরিণত শিশুর জন্ম। মানবশিশুর জন্যে শীঘ্রই শুরু হ’তে যাচ্ছে এই গর্ভাশয়ের যাত্রা।