ফল পচন রোধক মেশিন আবিষ্কার
এখন থেকে পচনরোধে ফলে কার্বোহাইরয়েড বা ফরমালিন দেয়ার দরকার হবে না। এজন্য ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট’ (বারি) আবিষ্কার করেছে ‘হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ নামক এক ধরনের যন্ত্র, যার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম ফলমূল, এমনকি শাকসবজি দুই থেকে তিন সপ্তাহ সতেজ রাখা সম্ভব। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট-এর মহাপরিচালক ড. রফীকুল ইসলাম বলেন, এই মেশিনে ৫৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস গরম পানি ব্যবহার করা হয় যার মাধ্যমে ফলের মধ্যে এক ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন শক্তি তৈরী হয়। এ ব্যবস্থায় ফল ও অন্যান্য পচনজাত পণ্য শোধন করা হ’লে সারাদেশে প্রচুর পরিমাণ ফলমূল পচে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং এতে বিদেশে রফতানীও সহজ হবে।
[ধন্যবাদ দেশী বিজ্ঞানীদের! আল্লাহ্র অমূল্য নে‘মত ফলমূলে বিষ ভরে দিয়ে যারা মানুষকে গোপন হত্যা করে চলেছে, ঐসব নরপশুদের বিরুদ্ধে এটি হবে একটি সুন্দর প্রতিরোধ ব্যবস্থা। বিজ্ঞানকে মুসলিম বিজ্ঞানীগণ জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে তারাই হবেন সবচেয়ে বড় নেক্কার ও সৎকর্মশীল বান্দা। আল্লাহ তাদের মেধা ও গবেষণায় আরও বরকত দিন! (স.স.)]
জরিপ বিদ্যার ডিজিটাল যন্ত্র আবিষ্কার রুয়েট শিক্ষার্থীর
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ৪র্থ বর্ষের সিভিল বিভাগের ছাত্র মুহাম্মাদ আল-হেলাল জরিপ বিদ্যার ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। তার ডিজিটাল এ পদ্ধতির ব্যবহারের মাধ্যমে জমি অথবা যে কোন পরিমাপক হিসাবে সেকেলে পদ্ধতিতে যে ফিতা বা স্কেলের ব্যবহার করা হ’ত তার পরিবর্তে এখন থেকে খুব সহজেই এবং নির্ভুলভাবে ভূমি জরিপের কাজ করা সম্ভব হবে। যেসব জায়গায় ফিতা বা চেইন নিয়ে মাপা সম্ভব নয় যেমন নদীর ভেতরে কোন ব্রিজের উচ্চতা বা কোন উঁচু ভবনের কোন অংশের দৈর্ঘ্য সেসব জায়গায়ও এ যন্ত্রের সাহায্যে দূর থেকেই মাত্র কয়েকটি বাটন চাপ দেয়ার মাধ্যমে নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা যাবে। এমনকি এজন্য নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে বস্ত্তর কাছে যাওয়ারও দরকার নেই। আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হ’ল দূরত্বটি প্রদর্শিত হবে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে। অত্যন্ত সূক্ষ্ম এমনকি দশমিক-এর পরে প্রায় ৪-৫ ঘর পর্যন্ত মান নেয়া যাবে। যা ফিতা দিয়ে মেপে বের করা প্রায় অসম্ভব। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী এ যন্ত্র তৈরীতে ব্যবহৃত হয়েছে সি প্রোগ্রামিং এবং মাইক্রো প্রসেসর চিপ।
[ধন্যবাদ ছাত্রটিকে! আল্লাহ তার মেধা আরও বর্ধিত করুন। দেশ ও মানবতার কল্যাণে আরও কাজ করার তাওফীক দান করুন- আমীন! (স.স.)]
ডিমের ভিতর ডিম!
আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে কুকি স্মিথ নামে এক মহিলা তার মুরগির দেয়া ডিমের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন আরেকটি পরিপূর্ণ ডিম। তার পালা ৩টি মুরগির মধ্যে একটি অস্বাভাবিক বড় রকমের ডিম দেয়। ডিমটি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ইঞ্চি লম্বা এবং একটু ভারি। ডিমটি পেয়ে তিনি আশ্চর্য হয়ে ঘরে নিয়ে আসেন। এরপর ডিমটি ভাঙ্গতেই তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে আরেকটি পরিপূর্ণ ডিম। তবে এই ডিমটির খোলস ছিল একটু পাতলা।
[ডিমের মধ্যে ডিম এল। এবার বিজ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করুন পৃথিবীতে মুরগী আগে জন্মেছে না ডিম? অতঃপর জিজ্ঞেস করুন মুরগী বা ডিম কি আপনাআপনি সৃষ্টি হয়েছে, না তার কোন সৃষ্টিকর্তা আছেন? (স.স.)]