ঘুম তাড়াতে ডিম
সম্প্রতি ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমের সাদা অংশে এমন এক ধরনের প্রোটিন আছে যা আমাদের দিনভর সতেজ রাখে এবং ক্লান্তি ও তন্দ্রাকে দূরে রাখে। আমাদের দিনভর সতেজ রাখার জন্য মস্তিষ্কে এক ধরনের সেল সবসময় সক্রিয় রাখে। এই সেলের নাম ‘ওরেক্সিন সেল’। গবেষকরা জানান, দিনভর একটানা কাজ এবং নানান দুশ্চিন্তার কারণে স্থির হয়ে যায় এই সেল। যার কারণে কাজের ফাঁকে কিংবা খাবারের পর ঘুম চলে আসে এবং ক্লান্তি দেহকে পেয়ে বসে। এ ক্লান্তি দূর করার জন্য একটি সহজ উপায় বের করতে গিয়ে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বিভিন্ন খাদ্য নিয়ে গবেষণার পর দেখেন ডিমের সাদা অংশে এক ধরনের অ্যামিনো এসিড আছে, যা আমাদের দিনভর সতেজ এবং ক্লান্তিহীন রাখে। এছাড়াও আমরা সারাদিন যেসব খাদ্য খেয়ে থাকি সেসব খাদ্যের গ্লুকোজ ঐ ওরেক্সিন সেলে এক ধরনের ব্লকেজ তৈরী করে। কিন্তু অ্যামিনো এসিড গ্রহণ করলে গ্লুকোজ আর ব্লক তৈরী করতে পারে না। তাই তন্দ্রা ও ক্লান্তি কাটাতে কাজ থেকে ঘন ঘন বিরতি না নিয়ে একেবারে দিনের শুরুতেই নাশতায় ডিম খেয়ে নেয়া যায়। এতে ক্লান্তি ও তন্দ্রা আসবে না, আর স্থূলতার চিন্তাও কমে যাবে।
ডিমে বাড়ে স্মৃতিশক্তি : বোস্টন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের গবেষক রোডা আউ এবং তার দল গত ১০ বছর ধরে ডিম এবং এর পুষ্টিগুণ নিয়ে গবেষণা করে ডিমে ‘কোলেন’ নামে নতুন এক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান খুঁজে পেয়েছেন। এই উপাদান স্মৃতিশক্তিকে শাণিত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ১৪০০ বৃটিশের মধ্যে যারা নিয়মিত সকালের নাশতায় ডিম খাওয়ার অভ্যাস করেছেন তাদের স্মৃতিশক্তি বাকীদের চেয়ে অনেক তুখোড়।
মেশিনে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম ত্বক
সারা মানবদেহকে আবৃত করে রাখা চামড়া বা ত্বককে এবার কৃত্রিমভাবে গবেষণাগারে তৈরি করছেন জার্মানির ফ্রাউনহফার ইনস্টিটিউটের টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিজ্ঞানীরা। ভবিষ্যতে ত্বকের ক্যান্সার রোধে তাদের এই প্রচেষ্টা যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে ত্বক। একটি মানব ত্বকের আকার দুই বর্গমিটার পর্যন্ত হতে পারে এবং সারা দেহের শতকরা ১৬ ভাগ ওযন হচ্ছে এই চামড়া বা ত্বকের। মানব শরীরের এক বর্গইঞ্চি ত্বকে রয়েছে সাড়ে ছয়শ’ ঘামের গ্রন্থি, ২০টি উপশিরা, ৬০ হাযার মেলানোসাইটিস এবং এক হাযারেরও বেশি স্নায়ুতন্তু।
ইনস্টিটিউটের টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর হাইকে ওয়ালেসের নেতৃত্বে এই টিস্যু ফ্যাক্টরির কাজ চলছে। সেখানে কৃত্রিম ত্বক তৈরির পাশাপাশি একে কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সেটা নিয়েও গবেষণা চলছে। এখন পর্যন্ত তারা দুই স্তরবিশিষ্ট কৃত্রিম ত্বক তৈরি করতে পেরেছেন। তবে ভবিষ্যতে হয়তো পুরোপুরি মানব ত্বকের হুবহু ত্বকই তারা তৈরি করতে পারবেন।
অন্ধত্ব দূর করবে গাঁদাফুল
গাঁদাফুলের নির্যাস থেকে তৈরী এক ধরনের বিশেষ ওষুধ বৃদ্ধ বয়সের অন্ধত্ব দূর করতে সাহায্য করবে। এই ফুলের নির্যাসে আছে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা এজ-রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’র (এএমডি) বিরুদ্ধে লড়াই করে। এজ-রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হল বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, মানুষ চিনতে ভুল করা, রঙের পরিচিতি ভুলে যাওয়া।