একাদশ জাতীয় সংসদে সরকার ও সরকারপ্রধানের প্রশংসায় ৬১ ঘণ্টা ২৬ মিনিট ব্যয় হয়েছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১০০ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাযার ৭০৪ টাকা। আর সংসদ সদস্যরা নির্ধারিত সময়ে না আসায় সংসদের ২২টি অধিবেশনে কোরাম সংকটের কারণে সংসদ কার্যক্রম শুরু হ’তে বিলম্ব হওয়ায় সংসদের ব্যয় হয়েছে ৫৪ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট। এর অর্থমূল্য প্রায় ৮৯ কোটি ২৮ লাখ আট হাযার ৭৭৯ টাকা। টিআইবির এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
টিআইবির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আরো দেখা গেছে, চলতি সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় সরকারদলীয় সদস্যরা তাঁদের বক্তব্যে প্রধান-মন্ত্রীর প্রশংসায় ১৯.৮ শতাংশ এবং সরকারের প্রশংসায় ১৯.৪ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন। তবে সরকারী দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের সদস্যরাও সরকার ও সরকারপ্রধানের প্রশংসায় সময় ব্যয় করেছেন। ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় মোট ১৮৬ ঘণ্টা ২৬ মিনিট ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে সরকারী দলের সদস্যরা ১৫৬ ঘণ্টা ২৮ মিনিট (৮৬.২%) এবং প্রধান বিরোধী দল ২০ ঘণ্টা ১৮ মিনিট (১১.২%) আলোচনা করেছেন।
চলতি সংসদে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উলেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বর্জনের অপসংস্কৃতি থেকে এই সংসদ সম্পূর্ণ বেরিয়ে এসেছে। বিরোধী দল মাত্র পাঁচবার সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছে। কারণ এখন অনেকটা বিরোধী দলবিহীন সংসদ চলছে। কোরাম সংকটের সময় কমেছে। সংসদ নেতার উপস্থিতি বেড়েছে। আইন প্রণয়নের সময় তুলনামূলক বেশী ব্যয় হয়েছে।