বিশ্বে কার্বন-ডাইঅক্সাইডের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত প্রথম দেশ ভুটান। দেশটি যে পরিমাণ কার্বন-ডাইঅক্সাইড নির্গমন করে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশী কার্বন শোষণক্ষম হওয়াতেই এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত। পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলো গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেও কোন সমাধান করতে পারছে না, সেখানে প্রথম ব্যতিক্রম ভুটান। ৭২ শতাংশ বনাঞ্চল সমৃদ্ধ দেশটি বার্ষিক ১৫ লাখ টন কার্বন নির্গমন করে। যেখানে তার কার্বন শোষণ ক্ষমতা ৬০ লাখ টন। দেশটির বেশকিছু নীতি তাদেরকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। যেমন দেশটিতে কাঠ রফতানী নিষিদ্ধ। সংবিধান অনুযায়ী, দেশটির বনাঞ্চল মোট ভূখন্ডের ৬০ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না। জৈব জ্বালানীর তুলনায় সেখানে নদী থেকে উৎপাদিত হাইড্রোলিক পাওয়ার বেশী ব্যবহৃত হয়। পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে তারা আবর্জনার কোটা শূন্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তারা বিদ্যুৎচালিত গাড়ি তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে দেশটির সকল গাড়ি বিদ্যুৎচালিত হয়। এছাড়া তারা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে। গতবছর ভুটানের স্বেচ্ছাসেবকরা মাত্র এক ঘণ্টায় ৪৯ হাযার ৬৭২টি গাছ রোপণ করে বিশ্ব রেকর্ড করেছে।
[ক্ষমতার লড়াই না থাকলে দেশে শান্তি থাকে এবং তখনই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। ভূটানের রাজতন্ত্র খুবই সম্মানিত। যা দেশে শান্তিরক্ষায় খুবই সহায়ক হয়। আমাদের দেশে একক কোন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব না থাকায় সর্বদা অশান্তির আগুন জ্বলে। এরপরে্ও পারস্পরিক সহনশীলতা থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব হ’ত। আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন! (স.স.)]