গুম,
খুন ও অপহরণের মিছিলের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে নবজাতক হত্যার সংখ্যা।
এসব ঘটনা এখন আর কাউকে আলোড়িত করে না। একটি সমাজ ও রাষ্ট্রের অধঃপতন কতটা
হ’লে নবজাতককে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া হ’তে পারে তা সহজেই অনুমেয়। আরবের
অন্ধকার যুগে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত যেভাবে পুতে ফেলা হ’ত, এ যুগেও কিছু
ডাস্টবিন কিংবা ময়লার ভাগাড়ে নবজাতককে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। গত এক
বছরে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩০০ নবজাতকের লাশ উদ্ধার
করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
অপরাধ গবেষকরা বলছেন, যেকোন জায়গায় এসব শিশুদের ফেলে দেয়া হচ্ছে। ব্যাগে, বস্তায়, কাপড়ে মুড়িয়ে। কোনও শিশুর কান্না মানুষের কাছে পৌঁছালে ভাগ্যচক্রে বেঁচে যাচ্ছে। আর এসব ঘটনায় মামলা হ’লেও আসামী খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের মতে, সামাজিক অবক্ষয়, ইন্টারনেটের ভয়াবহ আগ্রাসন, মাদকের সয়লাব, পর্নোগ্রাফী, বিবাহবহির্ভূত অবাধ মেলামেশা মূলতঃ এই অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী।
শুধু নবজাতক হত্যাই নয়, ভ্রূণ নষ্ট করাও যেখানে ইসলামে পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ। সেখানে ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে ভ্রূণ নষ্ট করা এবং নবজাতককে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ একজন মানুষ হত্যা আর ভ্রূণ হত্যার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। যারা এ কাজ করছে বা এতে সম্মতি ও সহায়তা করছে তারা প্রত্যেকেই খুনের অপরাধে অপরাধী।