মৌলভীবাজারের
কুলাউড়া উপযেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কানিহাটি গ্রামে এক ধান গাছে পাঁচবার
ফলন দিবে। এমন এক নতুন জাতের ধান গাছ উদ্ভাবন করেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী
ধান গবেষক ও জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী।
সরেযমীন দেখা যায়, কানিহাটি গ্রামের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে আমতলা মাঠে দুই বিঘা জমি ঘিরে টান টান উত্তেজনা। বিস্ময় জাগানো পাকা ফসল কাটা শুরু হয়েছে। চারা রোপণের পর এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ধান কাটা হ’ল। একবার রোপণে এ ধানের গাছে বছরজুড়ে পাঁচবার ফলন আসায় নিভৃত কানিহাটি গ্রাম থেকে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক ইতিহাস।
আবেদ চৌধুরী জানান, বোরো হিসাবে গত বছরের প্রথমে লাগানো এ ধান ১১০ দিন পর পেকেছে। একই গাছে পর্যায়ক্রমে ৪৫ থেকে ৫০ দিন পরপর একবার বোরো, দু’বার আউশ এবং দু’বার আমন ধান পেকেছে।
তিনি জানান, জমিতে এক গাছে ধানের পাঁচ ফলনের ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। তিনি এক গাছেই ছয়বার ফসল তোলার গবেষণা চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি নতুন জাতের ধান সারাদেশেই চাষাবাদ সম্ভব কি-না তা যাচাই করবেন। এজন্য বিভিন্ন যেলায় এ ধানের পরীক্ষামূলক চাষ করবেন। কুলাউড়ার কানিহাটি গ্রামের সন্তান আবেদ চৌধুরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা শেষে চাকরী নিয়ে চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। সেদেশের জাতীয় গবেষণা সংস্থার প্রধান ধানবিজ্ঞানী হিসাবে ২০ বছর ধানের জিন নিয়ে গবেষণা করেছেন। পেশাগত কারণে বিদেশের মাটিতে গবেষণা করলেও দেশে তার গ্রাম কানিহাটিতে গড়ে তুলেছেন খামার।
আবেদ চৌধুরী বলেন, ‘আম-কাঁঠালের মতো বছরের পর বছর টিকে থাকার সৌভাগ্য ধান গাছের হয় না- এটা কোনভাবেই মানতে পারছিলাম না। তাই গবেষণা শুরু করি’। একই গাছ থেকে পাঁচবার ধান বেরিয়ে আসে। ফলে এই ধানের নাম তিনি দিতে চান ‘পঞ্চব্রীহি’।