প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের (৫-৮ই সেপ্টেম্বর) মধ্যেই গত ৭ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছেন। দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র অংশ হিসেবে রাহুল গান্ধী ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাযার কিলোমিটার ভ্রমণ করবেন। কংগ্রেসের ওই কর্মসূচীর বিষয়ে বলতে গিয়েই এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ভারত ঐক্যবদ্ধ। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, শিলচর থেকে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র পর্যন্ত আমরা এক। কংগ্রেস দেশকে ভারত ও পাকিস্তানে বিভক্ত করেছে। এরপর বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়। রাহুল গান্ধী যদি ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে মনে করেন যে আমার নানা (জওহরলাল নেহেরু) ভুল করেছেন, যদি তিনি অনুশোচনা করেন, তাহ’লে ভারতীয় ভূখন্ডে ‘ভারত জোড়ো’-এর কোনো মানে নেই। পাকিস্তান, বাংলাদেশকে একীভূত করে অখন্ড ভারত গঠনের চেষ্টা করুন।
[ভারত বিভক্তির জন্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দু নেতাদের হিংস্র মনোভাব এবং সশস্ত্র গুন্ডা ও লুটেরাদের অত্যাচার ছিল মূলতঃ দায়ী। অন্য সময় ছাড়াও বিশেষ করে ১৯৪৬ সালে কলিকাতার রক্তাক্ত রায়টের ইতিহাস মুসলমানরা ভোলেনি। যে হিংস্রতা আজও চলছে অযোধ্যার বাবরী মসজিদ ধ্বংস ও গুজরাট দাঙ্গায় শত শত মুসলিমকে হত্যা ও নির্মূল করার মাধ্যমে। যেটাই হোক, ভারত বিভক্তির ৭৫ বছর পরে এসে শাসক বিজেপি দলের একজন রাজ্য মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে পুনরায় অখন্ড ভারতের প্রস্তাব দেওয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য হুমকি ব্যতীত কিছুই নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি (স.স.)]।