ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এর মধ্যে ক ইউনিটে পাস করেছে ১০.৩৯ শতাংশ, খ ইউনিটে ৯.৮৭ শতাংশ, গ ইউনিটে ১৪.৩ শতাংশ এবং ঘ ইউনিটে পাস করেছেন মাত্র ৮.৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। যেখানে লাখ লাখ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন, সেখানে এত ফেল করার কারণ কী?
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীরা মনে করছেন- মূলত পরিকল্পিত প্রস্ত্ততির অভাব, গাইড নির্ভরতা ও মুখস্থ নির্ভর পড়াশোনা ভর্তি পরীক্ষায় ফেলের অন্যতম কারণ।
পাঠ্য বই ভালো ও গোছালোভাবে না পড়া এবং গভীরভাবে আত্মস্থ না করাই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনযূরুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের গাইড নির্ভরতা কমাতে হবে। মুখস্থ না করে শুরু থেকে মূল বই ভালভাবে আয়ত্ত করতে হবে। বুঝে পড়তে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় খুব বেশী জটিলতায় পড়তে হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, সেসব শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তারা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে খুবই অল্প পড়াশোনা করে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের কারণেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে তাদের এমন বিপর্যয় হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসাইন বলেছেন, দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষায় যে ধস নেমেছে তা বেশ কয়েক বছর ধরেই আমরা লক্ষ্য করছি। আর এটি হয়েছে সরকারের নীতির কারণেই। আসলে শিক্ষার গুণমান ধসে গেছে। কী পরিমাণ ধসে গেছে এর প্রমাণ ভর্তি পরীক্ষার এই ফল।