গত ১১ই মে বুধবার ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ সহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদক অফিসে গিয়ে ২২০০ পৃষ্ঠার একটি শ্বেতপত্র তুলে দেন। যা গত মার্চে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তারা দিয়েছিলেন এবং তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিলেন।

[কথিত গণকমিশনের চেয়ারম্যান হাইকোর্টের বিতর্কিত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক ইতিপূর্বে বিদেশ ভ্রমণের সময় ইকোনমি ক্লাসের টিকেট কিনে বিমানে বিজনেস ক্লাস দাবী করেছিলেন। দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তিনি সেখানেই আদালত বসিয়ে বিমান স্টাফকে দন্ড দেওয়ার হুমকি দেন ও পত্র-পত্রিকায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত। ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিতর্কিত বিচারক। যিনি মানবতা বিরোধী অপরাধের আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ দাবী করার অপরাধে ২০১৯ সালে তিনি বরখাস্ত হয়েছেন। ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির সম্পর্কে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের ছিদ্দীকী মন্তব্য করেছিলেন, ‘সে কবে মুক্তিযোদ্ধা ছিল? সে তো একাত্তরে পাক বাহিনীকে মুরগী সাপ্লাই দিত। অথচ এ লোক আজ মুক্তিযুদ্ধের গোটা চেতনার দেখভালকারী হয়ে বসেছে’।

আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি, দেশে সর্বত্র দুর্নীতির ছড়াছড়ি থাকলেও সেদিকে নযর না দিয়ে দুদক এবং সুন্দর ভাবমূর্তির অধিকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কিভাবে ভারতীয় দালাল ঘাদানিকের কথিত শ্বেতপত্র গ্রহণ করলেন? প্রধানমন্ত্রী কি বিষয়টি মেনে নিবেন? আমরা অবিলম্বে এই দেশদ্রোহী লোকগুলিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানের আহবান জানাচ্ছি (স.স.)]।

 






আরও
আরও
.