বিজিবি’র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ. ল. ম. ফযলুর রহমান মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে অবিলম্বে জাতিসংঘ শান্তি মিশন পাঠানোর ওপর গুরুতবারোপ করে বলেছেন, বাংলাদেশের ডিপ্লোমেটিক লাইনটা হওয়া উচিৎ যাতে জাতিসংঘ থেকে ফোর্স পাঠানো হয় রাখাইনে। এতে একটা লাইন ড্র হবে, যাতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ আলাদা হয়ে যাবে। বাংলাদেশে যে সকল রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি মনে করি অতিদ্রুত বাংলাদেশের উচিৎ ইউএন মিশন করা, যাতে শান্তি মিশন ইনভলভ হয়। গত ৯ই সেপ্টেম্বর চ্যানেল আই এ তৃতীয় মাত্রা নামের এক টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন। ২০০১ সালে আ ল ম ফযলুর রহমান কুড়িগ্রামের বরইবাড়ি সীমান্তে বিএসএফের সঙ্গে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় তাকে বীরের মর্যাদা দেয়ার দাবী উঠেছিল।
জেনারেল ফযলুর রহমান বলেন, ৫০-এর দশক থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে মিয়ানমার সরকার। এই দুঃখ-দুর্দশা ১৯৭৮ থেকে দেখে আসছি। এটা আর কত দিন চলবে? মিয়ানমার এমন ফাযলামী করবে আর আমরা এটা মেনে নেব তা হ’তে পারে না। যদি মিয়ানমার সংযত না হয় তাহ’লে আমরা কি করবো? আমরা সারাজীবন তাদেরকে খাওয়াতে থাকব? আর নানা ধরনের ক্রাইম শুরু হবে? এটা আমরা করতে পারি না। আমি মনে করি শরণার্থী রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রেখে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্র দিয়ে অন্তত ২ লাখ ফোর্স তৈরী করা দরকার। অতঃপর ব্যাক বাই আর্মি মিয়ানমারে পাঠিয়ে রাখাইন প্রদেশটাকে বাংলাদেশের অংশ করে নিয়ে নিতে হবে।