মাত্র
সাড়ে পাঁচ হাযার টাকায় ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক ডেলিভারী করা হচ্ছে ঢাকার
আদ-দ্বীন হাসপাতালে। অনেক প্রসূতি আছেন যারা ‘প্রসবকালীন পেইন’ সহ্য করতে
ভয় পান। নরমাল ডেলিভারীর সম্ভাবনা থাকলেও তারা সিজারিয়ানের জন্য পীড়াপীড়ি
করেন। তাদের জন্যই এই ব্যবস্থাপনা। এতে প্রসব বেদনার সময় ব্যথানাশক একটি
ইঞ্জেকশন দেয়া হয়। এরপর গর্ভস্থ সন্তান ও মাকে ক্লোজ মনিটরিং করা হয়।
জটিলতা না হ’লে অপারেশন ছাড়াই সন্তান ডেলিভারী হয়।
এ বিষয়ে আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশন পরিচালিত হাসপাতালসমূহের পরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমীন বলেন, ‘ভবিষ্যত বংশধরদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন হিসাবে গড়তে সিজারিয়ান অপারেশনের চেয়ে নরমাল ডেলিভারীর ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে হাসপাতালটি। তিনি আরো বলেন, ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারীর জন্য গর্ভধারণের পর থেকে আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা যরূরী। আমাদের চিকিৎসকরা নিয়মিত চেকআপ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গর্ভের বাচ্চার অবস্থান লক্ষ্য করবেন। যদি সব কিছু স্বাভাবিক থাকে তাহ’লে ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারী সম্ভব।
রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মগবাজারে হাসপাতালটির অবস্থান। হাসপাতালের সাথেই রয়েছে আদ-দ্বীন মহিলা মেডিকেল কলেজ। ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে মহিলা, পুরুষ ও শিশু সবার সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। তবে মহিলা রোগীর সংখ্যা এখানে সব সময়ই বেশী। প্রসূতি মায়েদের এখানে বিশেষ যত্ন ও নিবিড় সেবাদানের কারণে অনেকের কাছে হাসপাতালটি বিশেষ আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছে। দক্ষ চিকিৎসক, ধাত্রী ও নার্সদের সার্বক্ষণিক সেবা এবং স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবার কারণে হাসপাতালটিতে দিন দিন রোগীর ভিড় বাড়ছে।
নার্সিং পেশায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হাসপাতালের সিনিয়র মেট্রোন আফরোযা বানু বলেন, প্রতি মাসে এখানে ৪৫০ থেকে ৫০০ প্রসূতির নরমাল ডেলিভারী সম্পন্ন হয়। প্রতি বছর এই হাসপাতালে যত সংখ্যক গর্ভবতী মা ভর্তি হন তার মধ্যে ৮০% নরমাল ডেলিভারী হয়।