বহু নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন ইমরান খান। অতঃপর ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন বিরোধীদলীয় জোটের নেতা শাহবাজ শরীফ। ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকবেন।

এর আগে গত ৯ই এপ্রিল শনিবার ভোররাতে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান, যিনি ২০১৮ সালে তার দল তেহরিক-ই-ইনছাফ (পিটিআই) নির্বাচনে জেতার পর প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। ইমরান খানই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারালেন।

পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএলএন) (নওয়াজ)-এর নেতা ৭০ বছর বয়স্ক শাহবাজ শরীফ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই। তিনি দেশটির সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কঠোর পরিশ্রমী ও দক্ষ প্রশাসক হিসাবে শাহবাজ শরীফের সুনাম রয়েছে। তিনি তিন মেয়াদে ১৩ বছর পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

সাংবাদিক সালমান গণী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর রুটিন ছিল প্রতিদিন ভোর ৬টায় ঘুম থেকে ওঠা। সব দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ওপর নির্দেশ ছিল ওই সময়েই অফিসে যাওয়ার। সব ডাক্তারদের উপর নির্দেশ ছিল ৬টার মধ্যে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার। কারোরই দেরি করার কিংবা গরহাজির থাকার জো ছিল না। আর শাহবাজ কাজ করতেন প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত।

সালমান গণী মনে করেন, পাকিস্তানের বিদ্যুৎ ঘাটতি দূর করার কৃতিত্ব ছিল শাহবাজ শরীফের এবং ২০১৩ সালের নওয়াজ শরীফের দলের জয়ের পেছনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

উল্লেখ্য, দায়িত্ব গ্রহণের ১ম দিনেই তিনি সকল কর্মচারীর আগমনের পূর্বে সকাল ৭-টায় অফিসে উপস্থিত হন এবং সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটি বাতিল করে ১দিন এবং অফিস সময় পাল্টে সকাল ১০-টার পরিবর্তে ৮-টা করেন।






আরও
আরও
.