ফিলিস্তীনের রাষ্ট্রীয় মর্যাদার পক্ষে জাতিসংঘে রায়
ফিলিস্তীনীদের সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবীর প্রতি বিপুল সমর্থন জানিয়ে ফিলিস্তীনকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র করে নেয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে সদস্য দেশগুলো। গত ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তীন রাষ্ট্রের ‘জন্ম সনদের’ এই দাবীর বিষয়ে ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৩৮টি সদস্য দেশ। ১৯৩ দেশের এই সংঘের মাত্র নয়টি রাষ্ট্র ফিলিস্তীনীদের দাবীর বিরোধিতা করেছে। এর মধ্যে ইসরাঈল ও যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে। এই ভোটাভুটিতে ৪১টি সদস্য দেশ ভোট দানে বিরত ছিল। ফিলিস্তীনীদের দাবীর প্রতি এই বিপুল সমর্থনকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাঈলের ‘কূটনৈতিক পরাজয়’ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ফিলিস্তীন এতদিন এই বিশ্ব ফোরামের অধিবেশনে যোগ দেয়ার সুযোগ পেত ‘পর্যবেক্ষক অঞ্চল’ হিসাবে। পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পাওয়ায় ফিলিস্তীনের প্রতিনিধি সাধারণ অধিবেশনের বিতর্কে অংশ নিতে পারবেন। ফিলিস্তীনের সীমানার দাবীও এক ধরনের স্বীকৃতি পাবে। ভোটাভুটির পর জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়ার অধিকার ফিলিস্তীনীদের রয়েছে। আর ইসরাঈলেরও রয়েছে নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন সাধারণ পরিষদের ভোটকে দুর্ভাগ্যজনক ও নেতিবাচক হিসাবে উল্লেখ করে বলেছেন, এটা শান্তির পথে আরও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। এদিকে ক্ষুব্ধ ইসরাঈল পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে তিন হাযার নতুন বাড়ি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আবারও সংকটের আবর্তে মিসর
রাজনৈতিক সংকট আবারও ঘনীভূত হ’তে শুরু করেছে মিসরে। হাযার হাযার জনতা প্রেসিডেন্ট মুরসীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছে। মুরসীর পক্ষ ও বিপক্ষ দলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৭ জন নিহত ও কয়েক’শ লোক আহত হয়েছেন। এরপূর্বে মুরসীর নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্ট দেশের খসড়া সংবিধান অনুমোদন করে এবং এর উপর গণভোটের আয়োজন করে। যেখানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম এবং ইসলামী শরী‘আতকে সকল আইনের মূল উৎস হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। একই সাথে মুরসী তার ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে এক সাংবিধানিক ডিক্রি জারী করেন। ডিক্রি অনুযায়ী কোন বিচারিক প্রতিষ্ঠান দেশটির সংসদ বিলুপ্ত করতে পারবে না। প্রেসিডেন্ট যে সাংবিধানিক ডিক্রি, আইন কিংবা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন, তা চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে এবং তার বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। দ্বিতীয় সিদ্ধান্তটি পরবর্তীতে বাতিল করা হ’লেও আসন্ন গণভোটকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মিসর।
পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান
পাকিস্তান গত ৫ ডিসেম্বর বুধবার পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি তরল জ্বালানীচালিত ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এটি ১৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। চলতি বছরে এ পর্যন্ত এটি পাকিস্তানের অষ্টম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। সবশেষ ৭০০ কি.মি. পাল্লার হাতফ-৭ পরীক্ষা চালানোর দু’মাস পর তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল। গত এপ্রিল মাসে ভারত সফলভাবে তাদের অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইসলামাবাদ পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।