হজ্জ ও ওমরাহ আদায়ের সময় প্রচন্ড ভীড়ে ভোগান্তিতে পড়েন মুছল্লীরা। এবার তাদের এই ভোগান্তি কমাতে দারুণ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সঊদী আরবের বিমান সংস্থা সাউদিয়া। সংস্থাটি মুছল্লীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে উড়ন্ত ট্যাক্সি চালুর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হ’লে এসব ট্যাক্সি ব্যবহার করে মুছল্লীদের জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে মক্কার হোটেলে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে সাউদিয়া গ্রুপের মুখপাত্র আব্দুল্লাহ আল-শাহরানী জানান, সাউদিয়া গ্রুপ ১০০ লিলিয়াম জেট ও জার্মান বৈদ্যুতিক যান ইলেকট্রিক ভার্টিক্যাল টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ইভিটিওএল) বিমান কেনার চুক্তি করেছে। পুরোপুরি বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলা এই যানের মাধ্যমে জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে মক্কার পবিত্র মসজিদ ও আশপাশের হোটেলগুলোতে যাত্রী পরিবহন করা হবে। প্রয়োজনীয় সব প্রস্ত্ততি সম্পন্ন হ’লে হজ্জ ও ওমরাহ মৌসুমে তা চালু করা হবে।

তিনি আরো জানান, প্রায় ১০০ বৈদ্যুতিক বিমান কেনার মাধ্যমে উন্নত পরিষেবা চালু করা হবে এবং বিমানবন্দরের সাথে গন্তব্যস্থলের সংযোগ তৈরি করা হবে। এসব বিমানে রয়েছে বিশেষ কেবিন, যার মাধ্যমে অভিজাত অতিথিরা সেরা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।

[এই সংক্ষিপ্ত ও বিলাসী হজ্জ-ওমরাহর জন্য হাজী ছাহেব বা ওমরাহকারীগণ যেন আল্লাহকে ভুলে না যান এবং এটাকে স্রেফ পর্যটন মনে না করেন। সে বিষয়ে সতর্ক করে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কি দেখ না, নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে সবকিছুকে আল্লাহ তোমাদের বশীভূত করেছেন এবং তোমাদের প্রতি তঁার প্রকাশ্য ও গোপন নে’মত সমূহ পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন? অথচ লোকদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে, যারা কোনরূপ জ্ঞান, পথনির্দেশ বা উজ্জ্বল কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বিতন্ডা করে’ (২০)। ‘যখন তাদের বলা হয়, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তোমরা তার অনুসরণ কর। তখন তারা বলে, বরং আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের যে বিষয়ের উপর পেয়েছি, তারই অনুসরণ করব। অথচ শয়তান যদি তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তির দিকে ডাকে, তবুও কি তারা এটা বলবে? (লোকমান ৩১/২০-২১)]







আরও
আরও
.