চট্টগ্রামের
ফটিকছড়ি উপযেলার একটি দোকানের মালিক মুহাম্মাদ শাহীন। ৩৫ বছর বয়সী এ যুবক
একসময় নিয়মিত ধূমপান করত। এর পেছনে প্রতিদিন তার ব্যয় হ’ত ৫০ টাকা বা তার
বেশী। এতে তার নিজের দোকান থেকে করা আয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ চলে যেত।
ধূমপানের এ অভ্যাস কোনভাবেই মানতে পারছিল না তার স্ত্রী। বিভিন্নভাবে
চেষ্টা করে কাজ না হ’লেও ৭ বছর পূর্বে একদিন রাতে এ নিয়ে কান্নাকাটির এক
পর্যায়ে মন গলে যুবকের। ঐ রাতেই সে প্রতিজ্ঞা করে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার।
তারপর থেকে আজ পর্যন্ত ধূমপান করেনি সে। সিগারেট ছাড়ার পরদিন থেকে স্ত্রী
ধূমপানের পিছনে প্রতিদিন যে ব্যয় হ’ত তা পাঁচটি মাটির ব্যাংকে জমা করতে
থাকে। অতঃপর গত ৬ই জানুয়ারী তা ভেঙ্গে ২ লাখ ৪৫ হাযার ৯৫ টাকা পাওয়া যায়।
দুই সন্তানের জনক শাহীন জানান, সাত বছর আগেও তিনি দৈনিক কমপক্ষে ৫০ টাকার
সিগারেট সেবন করতেন। এতে দোকানের আয়ের টাকা নষ্ট হ’ত। আমি ভাবতেই পারিনি,
এত টাকা জমবে।
[পুণ্যশীলা স্ত্রীকে ধন্যবাদ! এরূপ স্ত্রী ঘরে ঘরে থাকলে দেশের গৃহগুলি শান্তির গৃহে পরিণত হ’ত। তবে আল্লাহর ভয়ে শাহীন কাজটি করলে তিনি প্রভূত নেকীর অধিকারী হ’তেন। যেকোন অন্যায় কাজ থেকে আল্লাহর নামে তওবা করা উচিৎ (স.স.)]