পূর্ব
আফ্রিকার দরিদ্র দেশ মোজাম্বিকে ৩০ হাযার ভুতুড়ে সরকারী কর্মচারী শনাক্ত
করা হয়েছে। কিন্তু আদতে তাদের কেউই স্বপদে নেই। কেউ মারা গেছে, কেউ চলে
গেছে অবসরে, কেউবা দায়িত্বেই নেই। আবার এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামও পাওয়া
গেছে, যারা কখনো সরকারী দায়িত্ব পালনই করেননি। মোজাম্বিকের সরকার গত ১১ই
ডিসেম্বর সোমবার জানায়, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভুতুড়ে ঐ
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ সরকারী কোষাগার থেকে খরচ হয়েছে ২৫
কোটি মার্কিন ডলার। মোজাম্বিকের রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের ৫৫ শতাংশই সরকারী
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ খরচ হয়। মোজাম্বিকের রাষ্ট্রীয় সংবাদ
সংস্থাকে দেশটির জনপ্রশাসনমন্ত্রী কারমেলিটা নামাশুলুয়া বলেন,
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন পরীক্ষায় বিষয়টি ধরা পড়েছে।
প্রতি দুই বছর অন্তর এই মূল্যায়ন করা হয়। মন্ত্রী জানান, মোজাম্বিকে
বর্তমানে প্রায় ৩ লাখ ৪৮ হাযার সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
[বাংলাদেশে ‘গায়েবী’ মামলা হয়। হয়তবা সত্বর দল পোষণের জন্য এরূপ ভুতুড়ে সরকারী কর্মকর্তাও নিয়োগ হ’তে পারে। এইসব স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটাতে গেলে দল ও প্রার্থীভিত্তিক মেয়াদী নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে এবং প্রশাসনকে একাগ্রচিত্তে প্রশাসন চালনায় মনোযোগী হ’তে হবে (স.স.)]