টকটকে
লাল রঙ ও আকারে বড় হওয়ায় এই আম ‘এগ অব দ্য সান’ বা ‘সূর্য ডিম’ নামে
পরিচিত। বাংলাদেশের পূর্ব-দক্ষিণের পার্বত্য যেলা খাগড়াছড়িতে চাষ হচ্ছে
বিশ্বের সবচেয়ে দামী আম, যার প্রতি কেজি খুচরা বাযারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়
বিক্রি হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আম ৫০০০-৬০০০ টাকায় বিক্রি হয়ে
থাকে।
দামী এই আমটি বাংলাদেশের কোন জাত নয়। আমটি জাপানি প্রজাতির বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এই আমের গড়ন সাধারণ আমের চাইতে বড় ও লম্বা, স্বাদে মিষ্টি এবং আমের বাইরের আবরণ দেখতে গাঢ় লাল অথবা লাল-বেগুনির মিশ্রণে একটি রঙের। একেকটি আমের ওযন হয় ৩৫০-৪৫০ গ্রামের মতো। দামী এই আমটি চাষ করে ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছেন খাগড়াছড়ির কৃষক হ্ল্যাশিংমং চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কৃষিকাজকে নিজের পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন তিনি। খাগড়াছড়ি যেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মহলছড়ি উপযেলা। ঐ উপযেলার ধুমনিঘাট এলাকায় ১২শ ফুট উঁচুতে ৩৫ একর জায়গাজুড়ে নিজ উদ্যোগে তিনি গড়ে তুলেছেন হরেক রকম ফলের বাগান।
২০১৭ সালে তিনি প্রথম ভারত থেকে এই আমের ১০/১৫টি চারা কিনে নিজ বাগানে রোপণ করেন। এখন তার বাগানে সূর্য ডিমের ১২০টির মতো গাছ রয়েছে, যা থেকে প্রতি বছর ৩শ থেকে ৪শ কেজি আম হয় বলে জানিয়েছেন হ্ল্যাশিংমং।
প্রতি কেজি আম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করলেও এই আম খুচরা বাযারে গিয়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়।
হ্ল্যাশিংমং তার বাগানে প্রায় ৬০ জাতের আম সেই সঙ্গে ড্রাগনফল, রামবুটান, থাইলংগান, মালটাসহ প্রায় ১৫০ জাতের প্রচলিত-অপ্রচলিত-বিলুপ্ত জাতের ফল চাষ করে আসছেন।
তবে তার বাগানে যে আমের ফলন হচ্ছে সেটা বিশ্বমানের কি-না, এর স্বাদ জাপানের উৎপাদিত মিয়াজাকি আমের মতো কি-না, সেটা তিনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন।