হজ্জের খুৎবায় সঊদী গ্র্যান্ড মুফতী
ইসলামে সন্ত্রাসের স্থান নেই
সঊদী আরবের গ্র্যান্ড মুফতী শায়খ আব্দুল আযীয আলে শায়খ হজ্জের খুৎবায় বলেছেন, ইসলামে সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। আরাফাত ময়দানে সমবেত ৩০ লাখের বেশী হাজীর বিশাল সমাবেশে মসজিদে নামিরাহ থেকে প্রদত্ত এই খুৎবায় তিনি মুসলমানদের সন্ত্রাসের সঙ্গে আপস না করার এবং আত্মঘাতী বোমার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সমগ্র বিশ্ব আজ সন্ত্রাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং এটি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিশ্চয়তা দেয়। ইসলাম হ’ল সঠিক ধর্ম, যা বিশ্বের সকল মানুষের জন্য এসেছে। তিনি আরো বলেন, ইসলাম বিরোধী শক্তি ইসলাম সম্পর্কে বিরূপ ধারণা ও সন্দেহ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মুসলমানদের দ্বিধা-বিভক্তি এবং মুসলিম যুবকদের ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে তারা।
ফিলিপাইনে গণহত্যায় মিন্দানাও গভর্ণর জড়িত ছিলেন
-হাইকোর্ট
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গণহত্যায় প্রাদেশিক গভর্ণর ও স্থানীয় প্রভাবশালী গোত্র প্রধানের জড়িত থাকার ব্যাপারে প্রমাণ পেয়েছে দেশটির হাইকোর্ট। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ৩ ডিসেম্বর প্রাদেশিক গভর্ণর আন্দল আম্পায়ান সিনিয়রের জড়িত থাকার ব্যাপারটি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে প্রদেশটির মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাটির স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিকদের উপর চালানো হামলায় ঘটনাস্থলেই ৮৭ জন নিহত হয়।
ইউরেনিয়াম তেজষ্ক্রিয়তায় ইরাকে ক্যান্সার ও বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা বাড়ছে
ইরাকে অস্ত্রের ঝনঝনানি কমে এলেও প্রকট আকার ধারণ করেছে স্বাস্থ্য সমস্যা। ক্যান্সারের রোগী, বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা এর মধ্যেই মারাত্মকভাবে বেড়েছে। ইরাকে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর মার্কিন সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াইস্থল ফালুজা নগরীতে বেড়ে গেছে বিকলাঙ্গ, পঙ্গু ও মৃত শিশুর জন্ম। যুক্তরাষ্ট্র ও কোয়ালিশন বাহিনীর অস্ত্রে ইউরেনিয়াম ব্যবহার থেকে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয়তা ইরাকে এই মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরী করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরাকের কর্মকর্তারা।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী সম্প্রসারণের ঘোষণা
পারমাণবিক কর্মসূচী আরো সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করল তেহরান। ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা ঘোষণা করেছে, দেশটির সর্বমোট বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার মতো ২০টি পরমাণু স্থাপনা প্রয়োজন। সরকার এর মধ্যে ১০টি পরমাণু স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। যেগুলোর প্রত্যেকটি থেকে বছরে ৩০ টন সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন সম্ভব হবে। ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর ছালেহী বলেছেন, তার দেশের ২০ হাযার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। বর্তমানে নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে বছরে প্রায় ৩০ টন সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করা সম্ভব। এই স্থাপনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় এক হাযার মেগাওয়াট।