ইরাকে ৮ বছরে ৬ লাখ বেসামরিক লোক নিহত

ইরাকে পশ্চিমাদের সামরিক অভিযান শুরুর পর গত ৮ বছরে আত্মঘাতী হামলায় ১২ হাযারেরও বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। এ সময় আত্মঘাতী হামলায় আহত হয় ৩০ হাযারেরও বেশি মানুষ। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্ণাল ‘ল্যানসেটে’ প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০০৩ সালের ২০ মার্চ থেকে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইরাকে মোট ১ লাখ ৮ হাযার ৬২৪ জন বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ হাযার ২৮৪ জন ১ হাযার ৩টি আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয় বলে দাবী করা হয়েছে সমীক্ষায়। বাকীরা মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। একই সময়ে আহত বেসামরিক ইরাকীর সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাযার ১৬৫ জন। এর আগে ২০০৬ সালে ইরাকে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে অন্য একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে ল্যানসেট। যুদ্ধে ৬ লাখ বেসামরিক ইরাকী নিহত হয়েছে বলে সেখানে তথ্য প্রকাশ করা হয়।

ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ৩৮ গণকবরে ২১৬৫ লাশের সন্ধান

ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলের তিনটি এলাকায় ৩৮টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া  গেছে। ‘জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর স্টেট হিউম্যান রাইটস কমিশন’ (সিএইচআরসি) গত তিন বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে এসব গণকবরের সন্ধান পেয়েছে। সিএইচআরসি জানিয়েছে, এসব গণকবরে ২ হাযার ১৬৫টি লাশ পাওয়া গেছে। কাশ্মীরের মানবাধিকার গ্রুপগুলো দাবী করছে, আট হাযারের বেশি কাশ্মীরী যুবক নিখোঁজ রয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। আশংকা করা হচ্ছে, এসব হতভাগ্যকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে গোপনে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। স্বাধীনতার দাবীতে কাশ্মীরীরা গত ৩২ বছর ধরে সশস্ত্র সংগ্রাম চালাচ্ছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন দাবী করেছে, এই সংগ্রামের কারণে এ পর্যন্ত এক লাখের বেশী কাশ্মীরী হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। অসংখ্য নারী ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধর্ষিত হয়েছে। পাশাপাশি কাশ্মীরীদের ঘরবাড়ী ও দোকানপাট লুট করা হয়েছে। অন্যদিকে হাযার হাযার কাশ্মীরী তরুণ ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বিনা বিচারে ধুঁকে ধুঁকে মরছে।

এদিকে এ সম্পর্কিত খবর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে’র তদন্তের আহবানের ভিত্তিতে প্রথমে রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার সংস্থা এবং পরে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন ব্যাপারটি আমলে নেয় এবং তদন্ত শুরু হয়। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৮টি স্থানে দুই হাযারেরও বেশি মানুষের গণকবরের অস্তিত্বের কথা গত ১৬ সেপ্টেম্বর স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে দ্রুত তদন্ত শুরুর আহবান জানিয়েছে তারা। তাছাড়া প্রাপ্ত লাশগুলোর ডিএনএ পরীক্ষার সুপারিশ করেছে রাজ্য সরকার পরিচালিত মানবাধিকার কমিশন।

পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় এক দশকে ৩৫ হাযার মানুষ নিহত

পাকিস্তান বলেছে, তারা ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদের শিকারে পরিণত হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বরের দশম বর্ষপূর্তিতে পাকিস্তান একথা বলেছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তান কথিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী হয় এবং গত এক দশকে পাকিস্তানের ৩৫ হাযার মানুষ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়।






আরও
আরও
.