রামাযান
মাস এলেই বাংলাদেশে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয়
দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য যে, মুসলিম দেশে
মালয়েশিয়ায় পণ্যমূল্য না বাড়িয়ে উল্টো ডিসকাউন্ট দিয়ে দাম কমানোর
প্রতিযোগিতায় থাকেন ব্যবসায়ীরা। মালয়েশিয়ায় খোলাবাজারে দ্রব্যসামগ্রী
বিক্রি হয় না। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা চেইন সুপারশপ, হাইপার মার্কেটগুলোতে সব
ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি হয়। সরেযমীনে সুপারশপ ও হাইপার
মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে, রামাযান উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীতে ডিসকাউন্ট
স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব সুপারশপ ও হাইপার মার্কেটগুলোর মধ্যে
রয়েছে, মাইডিন, জায়ান্ট, এনএসকে, ইকোনসেভ, সেগী ফ্রেশ, জায়াগ্রোসারী
ইত্যাদি। মালয়েশিয়ায় প্রতিবারই একই দৃশ্য দেখা যায়।
উল্লেখ্য, দেশটিতে পণ্যসামগ্রী, খাদ্য-সামগ্রী, খাবার হোটেল, মুদি দোকান, চেইন সুপারশপ ও হাইপার মার্কেটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান খুব কঠোরহাতে নিয়ন্ত্রণ করে দেওয়ান বান্ডারায়া কুয়ালালামপুর (ডিবিকেএল) নামে সরকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মের কোন ব্যত্যয় দেখলে গ্রেফতারসহ জেল-জরিমানা করেন তারা। এই বাহিনীর ভয়ে পণ্যের দাম বৃদ্ধি তো দূরের কথা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখাসহ কোন অনিয়ম করতে শতবার চিন্তা করেন দোকানদাররা। ডিবিকেএল সব সময় বাজারে ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নযরদারী করায় তাদেরকে ফাঁকি দেয়া দুঃসাধ্য। এছাড়া ছিয়াম না রেখে দিনের বেলায় আহার করা অবস্থায় ধরা পড়লে দেশটির শরী‘আহ আদালতে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়। তাই মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরাও কঠোর পরিশ্রমের কাজের মধ্যেও সাধারণত ছিয়াম ভাঙেন না।
[বাংলাদেশ সরকার কি এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে না? (স.স.)]