পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র রক্ষায় মার্কিন প্রস্ত্ততি
পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র যাতে জঙ্গীদের হাতে না যায়, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এলিট এ বাহিনী পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র পাহারা দেবে, একই সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র বা উপাদান কোনভাবে জঙ্গীদের হাতে গেলে তা পুনরুদ্ধার করবে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে মার্কিন বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি এবং গত দুই বছরে স্পর্শকাতর কিছু স্থাপনায় জঙ্গী হামলার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র এ উদ্যোগ নিল। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা পাকিস্তানের কাছে তাদের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছেন। ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম টাইমস অনলাইন গত ১৭ জানুয়ারী এক প্রতিবেদনে একথা জানায়।
মার্কিন এনার্জি ডিপার্টমেন্টের গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধান ও সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা রলফ মোয়াট-লারসেন বলেন, পাকিস্তানে এমন কিছু সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে পরমাণু অস্ত্র সংরক্ষিত আছে। ব্রাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষকদের পরিচালক অধ্যাপক শল গ্রেগরি ২০০৭ সাল থেকে পাকিস্তানে হওয়া সব হামলা নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জঙ্গীরা এখন দরজায় কড়া নাড়ছে। তবে পাকিস্তান জঙ্গীদের হামলাকৃত পাঞ্জাবের সারগোধায়, আত্তক যেলার কারমায় এবং পাঞ্জাবের ওয়াহ সেনানিবাসে পরমাণু অস্ত্র মজুদ থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
অভ্যুত্থান পরিকল্পনার দায়ে তুরষ্কে ১২ সেনা কর্মকর্তার জেল
সামরিক অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগে তুরষ্কের আদালত গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ১২ সেনা কর্মকর্তাকে জেলে পাঠিয়েছে। যে শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচজন এডমিরাল, একজন সেনা জেনারেল এবং ছয় জন বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। এই নিয়ে সেনাবাহিনী এবং সরকারের মধ্যে উত্তেজনা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। তুরষ্কের সেনাবাহিনী ধর্মনিরপেক্ষ হ’লেও ক্ষমতায় রয়েছে ইসলামপন্থী সরকার। এদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে বলা হয়, এসব সেনা কর্মকর্তা কয়েক বছর আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়িফ ইরোডোগান সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেছিল। এদিকে একই অভিযোগে সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান এবং বিশেষ বাহিনীর প্রধানসহ আরও প্রায় ৫০ জন সেনা কর্মকর্তাকে গত ২২ ফেব্রুয়ারী জেলে পাঠানো হয়েছে।