নিজেদের
মধ্যে ডলারের পরিবর্তে স্বর্ণ ও পণ্যের বিনিময়ে বেচাকেনা শুরুর
চিন্তাভাবনা করছে ইরান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও কাতার। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও
অন্যান্য পশ্চিমা দেশের নিয়মিত আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক
প্রভাব প্রতিরোধ করতেই এমন পদক্ষেপের চিন্তা চলছে বলে জানান মালয়েশিয়ার
প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মাদ।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কুয়ালালামপুর সম্মেলনের শেষ দিনে ড. মাহাথির বলেন, ‘আমি স্বর্ণমুদ্রা এবং পণ্যের বিনিময়ে ব্যবসার ধারণাটিকে নতুনভাবে নিজেদের মধ্যে ভেবে দেখার প্রস্তাব রেখেছি। আমরা খুবই গুরুত্বের সাথে এটি বিবেচনা করছি এবং আশা করি এটি কার্যকরের কোন উপায় আমরা বের করতে পারব।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে চার দিনব্যাপী কুয়ালালামপুর সামিটে গোলটেবিল বৈঠক ও সেমিনারে উঠে আসে নির্যাতিতদের কথা। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান, কাতারের আমীর শেখ তামীমসহ পাঁচটি দেশের নেতা, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ এবং বেসরকারী সংস্থার সমন্বয়ে প্রায় ৪৫০ জন প্রতিনিধি চার দিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নেন। তারা সবাই কয়েক দশক ধরে ইসরাঈলের দখলদারিত্বের মধ্যে থাকা ফিলিস্তীনীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতিত মুসলমানদেরকে সহযোগিতার ব্যাপারে একমত হন।
[পণ্যের বিনিময়ে পণ্য বিক্রয় পদ্ধতিই হল সর্বোত্তম। ১৭৬৯ সালে ইংরেজ ভারত বর্ষে সর্বপ্রথম উৎপন্ন ফসলের বদলে মুদ্রার মাধ্যমে খাজনা আদায় পদ্ধতি চালু করে। আর তাতেই আসে ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ যা লাখ লাখ বনু আদমের মৃত্যুর কারণ হয়। কারণ তখন ফসল হৌক বা না হৌক মুদ্রা দিয়ে খাজনা পরিশোধ করতেই হ’ত। ফলে খাজনা পরিশোধ করতে গিয়ে সব ফসল শেষ হয়ে যেত। তাতে মানুষ না খেয়ে মরত। বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এর ব্যতিক্রম নয়। অতএব এ ব্যবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক (স.স.)]