চিংড়ী
ব্যবসার আড়ালে চালের গুঁড়া দিয়ে ক্যাপসুল তৈরী করত খুলনার বিশিষ্ট
শিল্পপতি কাযী শাহনেওয়ায। এ অবৈধ কারবারের জন্যে গত ১০ই অক্টোবর সোমবার
শাহনেওয়ায ও তার মাছ কারখানার কর্মকর্তা শরীফ রহমানকে আটক করে র্যাব।
অভিযানে খুলনার রূপসা উপযেলার চর রূপসা এলাকায় অবস্থিত শাহনেওয়াযের একটি
মাছের কারখানা থেকে এসিআই, স্কয়ার, একমিসহ বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের
নামে বানানো প্রায় ৭ লাখ নকল ঔষধ ও বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়।
যার মধ্যে রয়েছে এসিআই কোম্পানীর প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাযার পিস অ্যান্টিবায়োটিক
ফ্লুক্লক্স ক্যাপসুল এবং ১ বস্তা রেনিটিড ক্যাপসুল সহ বিভিন্ন নামের আরও ৪
বস্তা ঔষধ। এছাড়া আরো প্রায় আড়াই লাখ পিস ঔষধের খালি খোসা সহ নকল ঔষধের
কাঁচামাল, চালের গুঁড়া, কসমেটিক, কেমিক্যাল ও পাউডার। র্যাব-৬ সূত্রে
জানানো হয় যে, রূপসার চরে একটি ভবনে ভেজাল ঔষধ তৈরী হয়, এরপর সেই ঔষধ দেশের
বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়- এমন তথ্যের ভিত্তিতে বেশকিছু দিন গোয়েন্দা
নযরদারি বাড়ানো হয় চর এলাকায়। পরে নিশ্চিত হয়ে ‘শাহনেওয়াজ সি ফুডে’ অভিযান
চালানো হয়।
জানা গেছে যে, খুলনার হেরাজ মার্কেট ও ঢাকার মিডফোর্ডসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে এই চক্রটির যোগাযোগ রয়েছে। তারা ঐ সব হাসপাতাল থেকে অর্ডার নিয়ে গোপনে নকল ঔষধ তৈরী করত।
উল্লেখ্য, আটক শিল্পপতি শাহনেওয়ায বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এবং খুলনা চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি। ইতিপূর্বে জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তিনি খুলনা যেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ইতিপূর্বে তিনি কয়েকবার সরকারের ‘সিআইপি’ হয়েছেন। গণপূর্ত বিভাগের কেরানী থেকে আজ তিনি খুলনার বড় শিল্পপতি। বিভিন্ন সরকারী দফতরে তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল এমপি-র কাছের লোক বলে দাবী করতেন। এভাবে ক্ষমতাসীন দলের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি নানাবিধ অপকর্ম করতেন।
[দলবাজী রাজনীতির এটাই স্বাভাবিক পরিণতি। অতএব মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন (স.স.)]